নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। সিইসি চিঠিতে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সরকার ও অন্যদের কাছ থেকে যেভাবে সহায়তা পাচ্ছে, এটি অব্যাহত থাকলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কমিশন সক্ষম হবে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ইলেকশন কমিশনার ব্রিগে. জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি পাঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চিঠিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য অনুকূল নয় বলে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা জানায় ইইউ। এছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও পর্যবেক্ষণ দল পাঠায়নি ইইউ।
এদিন আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে একটি ছোট দল হলেও পাঠাবে। নির্বাচনে যত বেশি দেশি পর্যবেক্ষক থাকবে নির্বাচন তত বেশি স্বচ্ছ হবে এবং সবার ওপরে এক ধরনের চাপ থাকবে।
চিঠিতে তিনি জানান, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক পাঠানো সংক্রান্ত ১৯ সেপ্টেম্বরের চিঠিটি পেয়েছি। আমি এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে জানাতে চাই, সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মুক্ত, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচন আয়োজনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। সরকারও একই লক্ষ্য অর্জনে তাদের অঙ্গীকারের বিষয়টি বারবার উল্লেখ করছে।
তিনি আcvf জানান, তা সত্ত্বেও, স্থানীয় ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি দেশে ও দেশের বাইরে আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হিসেবে আcvf গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত যেমনই হোক, আমি বিশ্বাস করি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনকে মুক্ত, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক