এক বছর আগের তুলনায় ফিক্সড ইন্টারনেটের গতি ৪১ শতাংশ এবং মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈশ্বিক গড় গতির চেয়ে তা ৫ শতাংশ কমেছে। একইভাবে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ৭৩ শতাংশ ও ব্রডব্যান্ডের গতি ৩১ শতাংশ পিছিয়েছে। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় ৬ ধাপ পিছিয়ে ইন্টারনেটের গতি ও সুরক্ষায় বিশ্বের ১২১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৮২তম। এশিয়ায় ২৫তম।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সার্ফশার্কের ডিজিটাল কোয়ালিটি লাইফ সূচকের (ডিকিউএল) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এ অবস্থায় ডিকিউএল সূচকে গত বছরের তুলনায় ৭ ধাপ এগিয়ে প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ২৫তম।
জাতিসংঘের ওপেন সোর্স ইনফরমেশন, বিশ্বব্যাংক এবং অন্য প্রতিষ্ঠানের তথ্যের ভিত্তিতে নিজেদের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ডিকিউএল। প্রতিবেদনটি তৈরি করতে পাঁচটি ইন্ডিকেটরস বা বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
ডিকিউএলের তথ্যমতে, বাংলাদেশের ফিক্সড ইন্টারনেটের গড় গতি ৫৩ এমবিপিএস এবং মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি মাত্র ২০ এমবিপিএস।
এ সূচকে ফিক্সড ইন্টারনেটের গতির হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ফিক্সড ইন্টারনেটের গতি ৩০০ এমপিবিএস। মোবাইল ইন্টারনেটের গতির হিসাবে শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ৩১০ এমবিপিএস। তালিকায় সবার শেষে থাকা দেশটির নাম ভেনেজুয়েলা। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি মাত্র ১০ এমবিপিএস।
সূচকে ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে এসে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মান দশমিক ৩৬ শতাংশ, ইলেকট্রনিক অবকাঠামোতে দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ই-সরকারে দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তার অবনতি ঘটেছে দশমিক ৩৬ শতাংশ।