মাঠের রাজনীতিতে বিএনপিকে আর ছাড় দেবে না আওয়ামী লীগ। সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার বিরোধী বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করলে বিএনপিকে মাঠেই মোকাবিলা করবে দলটি। ইতোমধ্যেই অপরাজনীতি ছাড়তে বিএনপি ৩৬ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এই সময়ের মধ্যে সঠিক পথে না এলে বিএনপির অপরাজনীতির কালো হাত গুঁড়িয়ে দেয়ার বার্তা দিয়েছে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। তাদের ভাষ্যমতে- বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। নির্বাচনের আগে মার্কিন ভিসানীতিকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটি। নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নসহ নির্বাচনী সকল কার্যক্রম গুছিয়ে নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুখ খান মানবকণ্ঠকে বলেন, বিএনপির নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করবে। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। সুষ্ঠু আন্দোলনে সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধা দেয়া হয় না। তবে তারা কি ধরনের আন্দোলন করতে চায়? তাদের আন্দোলনে ধরন কেমন হবে? তারা কি আন্দোলনে নামে ফের আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করতে চায়? বিএনপির আন্দোলনের ধরন দেখে ব্যবস্থা নেবে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আগুন-সন্ত্রাস হলেই রাজনৈতিকভাবেই প্রতিরোধ করা হবে।
দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় অক্টোবর মাস। এ মাসেই সাংগঠনিক শক্তির প্রদর্শন দেখানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে এক দফা দাবি দলীয় কর্মসূচি আরও জোরদার করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিএনপি। তবে এতো দিন বিএনপির কর্মসূচিতে সরাসারি বাধা না দিলেও এখন সে পথেই হাঁটতে চায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা। সর্বশেষ গতকাল রাজধানীতে কৃষক লীগের সমাবেশে এমন বার্তা দিয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সেদিন আর বেশি দূরে নয়, বিএনপির রাজনীতিই কবরস্থানে যাবে। মিটিং করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি না নিলে খবর আছে। পালাবার পথ পাবেন না।বিস্তারিত