সুলতান সালাউদিন টুকু। বিএনপির যুব সংগঠন যুবদল সভাপতি। এক মামলায় হাজিরা, আরেক মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ। তার ওপর রয়েছে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ভয়। ছুটির দিন ছাড়া এভাবে প্রায় দিনই যেতে হয় আদালতে। ৩২৫ মামলা মাথায় নিয়ে মাসের পর মাস চলছে তার দিন। আবার এরই মধ্যে যুবদলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নন, তার মতো সকালে ঘুম থেকে উঠেই আদালতে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪৫০। প্রায় একইভাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ তৃণমূলের এরকম হাজার হাজার নেতা-কর্মী দিন কাটে এখন আদালতে। নেতাদের অভিযোগ, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য করার লক্ষ্যেই এ সব মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নেতারা। এর সঙ্গে রয়েছে আন্দোলনে সক্রিয় নেতাদের নিষ্ক্রিয় রাখার কৌশল। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ বিষয়ে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক ও ভিত্তিহীন। আদালত যেভাবে এই মামলাগুলো পরিচালনা করছেন মনে হচ্ছে ‘সুপারসনিক’। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমনটি হয়নি। কখনো রাতে, কখনো মোমবাতি জ্বালিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। বিচারের নামে হচ্ছে বিচারিক হয়রানি।বিস্তারিত