ডেঙ্গুতে এ বছর কেন বেশি মৃত্যু

ডেঙ্গুতে এ বছর কেন বেশি মৃত্যু

ডেঙ্গুজ্বরের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজারের বেশি মানুষ। এডিস মশার মরণ কামড়ে প্রিয়জন হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অসংখ্য পরিবার। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এ বছর। করোনার গভীর ক্ষতকে আবার উসকে দিচ্ছে ডেঙ্গু। এ বছর ডেঙ্গুতে কেন এত মৃত্যু- এ প্রশ্নে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও থামছে না ডেঙ্গুর আগ্রাসন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (সংক্রামক রোগ) ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি কারণে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছে। অনেক রোগী দেরিতে হাসপাতালে আসে। ততক্ষণে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। দ্বিতীয়, তৃতীয়বার আক্রান্ত হওয়ায় রোগীর পরিস্থিতি বেশি জটিল হচ্ছে। এটা মৃত্যুর আরেকটি কারণ। আগামী বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ এ বছর ২ লাখের বেশি মানুষ এর মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগীরা যদি দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বার আক্রান্ত হয়, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে। রোগী কমাতে চাইলে মশা মারায় জোর দিতে হবে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গু ঠেকানো যাবে না। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ১৫৮ জন, এ সময়ে মারা গেছেন ১৫ জন। এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৮২২ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭ হাজার ৫৮২ জন, ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪০ জন। এ বছর ডেঙ্গুজ্বরে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৭৯ জন।

বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ১৯৬৫ সালে। তখন এই রোগটি ঢাকা ফিভার নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে রোগটির সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সেই বছরে দেশে সর্বোচ্চ মারা যায় ২৮১ জন। তখন এটাই ছিল সর্বোচ্চ প্রাণহানি। এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু খুবই দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৯ জনে। দেশে ইতোমধ্যে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুতে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

শীর্ষ সংবাদ স্বাস্থ্য