তারা পরিচয় দেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। বিদেশি সুপরিচিত বিভিন্ন ব্যাবসায়িক ও প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটের আদলে নিজেরাই তৈরি করেন নকল ওয়েবসাইট। এসব সাইটে ইউরোপীয়, মার্কিনি মডেলদের ছবি ব্যবহার করে ‘এস্কর্ট সার্ভিস’-এর ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। এভাবে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি অপরাধী চক্র। টাঙ্গাইল মধুপুরের এই চক্রটি র্যাব-পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে আইপি এড্রেস হাইড করে রাখে। প্রতারণার ক্ষেত্রে চক্রটি ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বের করে ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। ক্যাশ অ্যাপ, ভ্যানমো, জিল্লিসহ আমেরিকান বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব অর্থ লুটে নেওয়া হয়। ভুক্তভোগী, স্থানীয় প্রশাসন ও সিআইডির তথ্যে প্রতারণার এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা আমাদের সময়কে জানান, টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ঘাটাইলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ ধরনের প্রতারণায় জড়িত। তরুণ-তরুণী, গৃহবধূ থেকে শুরু করে নানা বয়স ও শ্রেণির মানুষ এখন এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। তারা মূলত আমেরিকান ক্লায়েন্টদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। আমরা সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার ধরন, তাদের সহযোগীদের পরিচয় এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে আশা করি।
সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, টাঙ্গাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে অনলাইন স্ক্যামিং চলছে। বিশেষ করে টিনএজার পর্নো সাইট, অ্যাডাল্ট সাইট ও ডেটিং সাইটের মাধ্যমে স্ক্যামাররা প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমেরিকার জনপ্রিয় ক্লাসিফায়েড অ্যাডাল্ট সাইটের আদলে মধুপুরের স্ক্যামাররা নকল ক্লাসিফায়েড অ্যাডাল্ট ডেটিং সাইট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্ক্যামিংয়ের মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত বিত্ত-বৈভবের আশায় মধুপুরে মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্যকলাপও বেড়ে যাচ্ছে।বিস্তারিত