মেয়র আতিককে একহাত নিলেন ওবায়দুল কাদের

মেয়র আতিককে একহাত নিলেন ওবায়দুল কাদের

ডেঙ্গু প্রকোপের মধ্যে নকল মশার ওষুধ আমদানি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামকে একহাত নিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বেশকিছু কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।

বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত নেতাদের নাম বলার সময় মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেয়র সাহেবও আছেন উত্তরের। আল্লাহ জানে ডেঙ্গু মশায় কী করে! কী, ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি (আতিকুল ইসলাম) দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো, ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমতো এই মশারে আঘাত করেন, মানুষ বড় কষ্টে আছে।’

মেয়র আতিককে একহাত নিলেন ওবায়দুল কাদের
মশা নিধনে ভেজাল ওষুধ না ছিটানোর আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা নিধনে জৈব কীটনাশক বিটিআই কিনতে গত ১১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ৫ টন বিটিআই আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। আমদানি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘মার্শাল এগ্রোভেট’। ভেজাল ওষুধ সরবরাহের অপরাধে এক সময় প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল ডিএনসিসি।

আগস্টের শুরুতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে নগর ভবনে বিটিআই ব্যবহারের মহড়া হয়। লি শিয়াং নামে এক ব্যক্তিকে হাজির করে বলা হয়, তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবং বিটিআই প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘বেস্ট কেমিক্যালস’-এর প্রতিনিধি। ওষুধ প্রয়োগের কলাকৌশল শেখাবেন তিনি। ঠিক যখন মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ শুরুর কথা, তখনই ধরা পড়ে– সিঙ্গাপুর থেকে নয়, ওই বিটিআই এসেছে চীন থেকে। মার্শাল এগ্রো জালিয়াতি করে ডিএনসিসির কাছে গছিয়েছে পণ্যটি। আর লি শিয়াং সিঙ্গাপুরের ওই কোম্পানির কেউ নন, তিনি আসলে চীনা, নাম জনি লি।

অপরদিকে, ‘বেস্ট কেমিক্যালস’ জানায়, মার্শাল এগ্রোভেট বা ডিএনসিসিকে তারা বিটিআই সরবরাহ করেনি। জালিয়াতি ধরা পড়ার পর পাঁচ টন বিটিআই প্রয়োগও বন্ধ হয়ে যায়।

বিটিআই সরবরাহ করার জন্য কীটনাশক আমদানিতে তিন বছরের অভিজ্ঞতা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের নিবন্ধন বা বিশেষ অনুমতি সনদ, আইইডিসিআরের বায়ো-এফিশিয়েন্সি রিপোর্ট এবং উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের যে শর্ত আছে– তার কিছুই নেই মার্শাল এগ্রোভেটের। ডিএনসিসি তখন জানায়, ‘ওষুধ ভেজাল হলে সরবরাহকারীকে বিল দেওয়া হবে না।’ ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের কমিটি। ওই কমিটির প্রতিবেদন আজও জমা হয়নি। কমিটির প্রধান ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএ শরিফ উদ্দিন আরও সময় প্রার্থনা করে চলে যান পোল্যান্ড, রাস্তার বাতি কেনার কাজে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ