তালিকায় থাকা পর্যটন স্থানগুলোর সব বিশ্বের ঐতিহাসিক স্থান। যা আজকের পৃথিবীতে ‘আধুনিক যুগের সপ্তাশ্চর্য’ হিসেবে বেশ পরিচিত। ২০০৭ সালে ‘নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন’ এই সপ্তাশ্চর্যগুলো নির্বাচন করে।
তাজমহল, [ ভারত ]
তাজমহল মুঘল সাম্রাজ্যের একটি মুকুট; এবং স্থাপত্যশিল্পের কৃতিত্ব হিসেবে গোটা বিশ্বে আজও অনন্য। এই স্থাপত্যে ১৫২৬ থেকে ১৭৬১ সাল পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ রাজা-মহারাজা এখানে তাঁদের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। পঞ্চম মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬৩২ থেকে ১৬৪৮ সালে তাজমহল প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। বলা হয়, তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। বিশাল এই স্থাপনাটি নির্মাণে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক দিন-রাত পরিশ্রম করেছিলেন। এবং নির্মাণকার্য শেষ করতে প্রায় ১৬ বছর সময় লেগেছিল। ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন হিসেবে মাথা উঁচু করে আজও স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে তাজমহল। কথিত আছে, সম্রাট শাহজাহান তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজের মৃত্যুর পর বিরহ-শোকে কাতর হয়ে পড়েন। এরপরই স্ত্রীর স্মরণে বিশাল এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। অধিকাংশ ইতিহাসবিদের মতে, ওস্তাদ আহমেদ লাহোরি ছিলেন এর প্রধান স্থপতি। তাঁর তত্ত্বাবধানে ২০ হাজার লোকের ২২ বছরের পরিশ্রমে সম্পন্ন হয়েছিল তাজমহল। এটি মুঘল স্থাপত্যশৈলীকে ভীষণভাবে প্রতিফলিত করে। শ্বেতপাথরের তৈরি সমাধিসৌধ চন্দ্র-সূর্যের আলোয় প্রভাবিত হয়। দিনের আলো আর রাতের আঁধারে তাজমহল বর্ণিল রূপ ধারণ করে, যা কি না আবার প্রতিফলিত হয় সামনে থাকা জলাধারটিতে। অপূর্ব নির্মাণকুশলীতে গড়া ৪০০ বছর আগে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে নির্মিত এই সৌধটি বিশ্ববাসীর কাছে আজও বিশ্বের অনন্য এক বিস্ময়।বিস্তারিত