দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক ব্যয় ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ধরা হলেও তা আরও বাড়ছে। এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দুই দিন ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব মিলে নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা ব্যয় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি। এর বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে ব্যয় হবে ১২৬ কোটি টাকা। সব মিলে নির্বাচনী ব্যয় ১৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহে নির্বাচনী ব্যয় চূড়ান্ত করবে কমিশন।
বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৭০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হলেও এবারের ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসেবে চলতি অর্থবছরে ইসির সংসদ নির্বাচনের জন্য দ্বিগুণ ব্যয় রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দের বড় অংশ ব্যয় হবে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ব্যয় বেশি (প্রায় ৬৫ শতাংশ) আর পরিচালনা ব্যয় হবে তার চেয়ে কম (প্রায় ৩৫ শতাংশ)। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে নভেম্বরের শুরুতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। তবে এবারে সব দলকে নির্বাচনে আনতে ভোটের একাধিক তারিখও রাখা হতে পারে। এবারে ৫০ থেকে ৬০ দিন হাতে রেখেই নির্বাচনের তফসিল দেবে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া ইভিএম ছাড়া ব্যালট পেপারে ৩০০ আসনে ভোট করতে রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষ। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিক ব্যয় ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ধরা হলেও তা বাড়ছে। কেননা এবার প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের দুই দিনের সম্মানী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে তাদের একদিনের ভাতা দেওয়া হতো। এমনকি এবারের ভাতার পরিমাণও বাড়ছে। অন্যদিকে নির্বাচনী মালামাল কেনাকাটা, আইনশৃঙ্খলার খরচসহ সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে প্রায় ১২৬ কোটি টাকা।বিস্তারিত