রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য পিলখানার ভিতর দিয়ে দুটি লাইন বুড়িগঙ্গায় পড়েছিল, সে লাইনগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারী বর্ষণ হলে নিউমার্কেট ও পিলখানায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যদিও গত জুলাইয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি আয়োজিত আন্তসংস্থার সমন্বয় সভায় পানি নিষ্কাশন লাইন বন্ধ হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। তারপরও সমাধানের কোনো পথ বের করেনি সংস্থাটি।
কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, পিলখানার ভিতর দিয়ে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের একটি বৃহৎ অবকাঠামো ছিল। ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির পর থেকে অনেকগুলো মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাইফেলস স্কয়ার থেকে সীমান্ত স্কয়ার নিয়ে ধানমন্ডি খালের সঙ্গে সংযোগ ছিল। নায়েম রোড দিয়ে নর্দমার যে অবকাঠামো ছিল সেটা পিলখানার ভিতর দিয়ে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দুটো মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি বাড়লেই সীমান্ত মার্কেট তলিয়ে যায়। নায়েম রোডে সামান্য বৃষ্টি বা সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য পানিতেই তলিয়ে যায়। ধানমন্ডি-২ নম্বর রাইফেলস স্কয়ার ও সীমান্ত স্কয়ারের দেয়ালের মাঝখানে একটি রাস্তার জায়গা আছে। নিউমার্কেট ৩ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে হাতের বামের গলি, যা বের হওয়ার কথা সাত মসজিদ সড়কে। সীমান্ত ও রাইফেলস ক্লাব অবকাঠামো হয়ে যাওয়াতে পানি প্রবাহের জায়গা বন্ধ হয়ে যায়। গত ১০ জুলাই ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে আন্তসমন্বয় সভায় এ বিষয়গুলো উঠে আসে। সভায় ২ নম্বর গেট থেকে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত যদি বড় করে নর্দমা লাইন দেওয়া যায় নায়েম ও সীমান্ত স্কয়ারের জলাবদ্ধতা কমে যাবে বলে পরামর্শ আসে। বিস্তারিত