আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মামলা ও রায় আতঙ্কে পড়েছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিএনপি। এ সম্পর্কে দলীয় সূত্র বলছে, পুরনো, অচল ও স্থগিত মামলা সচল করে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নাশকতার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করছে পুলিশ। দলটির নীতিনির্ধারকদের মতে, সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে আছে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা ও আটকে রাখা, যাতে তারা কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। অর্থাৎ বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করাটাই সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার ব্যাপারে সরকারের এই মহাপরিকল্পনা আগে থেকেই রয়েছে। একটা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আদালতের মাধ্যমে ফরমায়েশি রায় ও সাজা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। পুরনো, স্থগিত ও অচল মামলাগুলো সচল করে দ্রুত রায় ও সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সম্প্রতি যে সাজা বহাল রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেটি সরকারের এই পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রেরই অংশ। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না এবার। কারণ জনগণ রাস্তায় নেমে গেছে। সার্বিকভাবে ব্যর্থ এই সরকারের পতন অনিবার্য।বিস্তারিত