রাজধানী ঢাকার সব সড়ক ও ফুটপাত যেন পরিণত হয়েছে শপিং মলে! প্রতিদিনই রাস্তার নতুন নতুন জায়গা দখল করে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। বসানো হচ্ছে হকার/অস্থায়ী দোকান। তোলা হচ্ছে ভাড়া। এসব দোকান থেকে বছরে ভাড়া (চাঁদা) উঠছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা, যার কানাকড়িও জমা পড়ছে না সরকারের কোষাগারে। কথিত নেতাদের নামে এই টাকা তুলছে লাইনম্যান হিসেবে নিযুক্ত কর্মীবাহিনী। চাঁদাবাজির বড় উৎস হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে কথিত অভিযানেও দখলমুক্ত হয়নি সড়ক ও ফুটপাত। কাজে আসেনি হকারদের পুনর্বাসনে হলিডে মার্কেট করার উদ্যোগও। উল্টো প্রতিনিয়ত সড়কে হকার বাড়ছে।
এদিকে সড়কের পাশে দোকান বসায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বাড়ছে যানজট। ফুটপাত দিয়ে স্বস্তিতে হাঁটতে পারছেন না নগরবাসী। ২০১৬ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের “দ্য স্টেট অব সিটিজ ২০১৬ : ট্রাফিক কনজেশন ইন ঢাকা সিটি- গভর্নেন্স পারসপেক্টিভ” শিরোনামে এক গবেষণায় বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে বছরে ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়, যা ছিল ওই সময়ে দুই সিটি করপোরেশনের মোট বাজেটের চেয়ে বেশি। প্রতিদিন চাঁদা আদায় হতো ৬০ কোটি টাকার বেশি। ওই গবেষণায় ঢাকায় তখন মোট হকারের সংখ্যা বলা হয় ৩ লাখ। আর প্রতি হকারের কাছ থেকে গড়ে প্রতিদিন চাঁদা আদায় হতো ১৯২ টাকা।বিস্তারিত