ধারাবাহিকভাবে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আমদানি ব্যয়ে লাগাম টেনেও ঠেকানো যাচ্ছে না পতন। আমদানি কমলেও ব্যাংকে ব্যাংকে সংকট থাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের জরুরি আমদানি এবং বকেয়া বিল পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। এর ফলে প্রতি মাসেই কমছে রিজার্ভ, যা পুরো অর্থনীতিকে নাজুক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বেসরকারি খাত এখন বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ কম নিচ্ছে বা কম পাচ্ছে, তবে আগে নেওয়া ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। রপ্তানি আয় মোটামুটি ভালো থাকলেও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কমছে। অন্যদিকে, বিদেশি ঋণ আসছে কম। বিদেশি বিনিয়োগও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আসছে না। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের চেয়ে পরিশোধের চাপ বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা এ পরিস্থিতিতে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বারবার সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান সম্প্রতি রিজার্ভের পতন ঠেকাতে জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্প্রতি একাধিক বৈঠকে কয়েকজন অর্থনীতিবিদ রিজার্ভ আর কমতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হবে না বলে সতর্ক করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না কমিয়ে আরও বাড়িয়েছে। জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত যত চাহিদাই আসুক, এক কর্মদিবসে ৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত ছিল। এখন প্রতি কর্মদিবসে বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ মিলিয়ন ডলার।বিস্তারিত