সদ্য বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারকে যে পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছে তার প্রথমটিই হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ প্রস্তাবে তাদের আপত্তি নেই। তবে সংলাপ হতে হবে যে কোনো শর্তমুক্ত। এদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ একাধিক শর্ত দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের আনতে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ আছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতায় সংলাপ বা আলোচনার বিকল্প কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু নির্বাচন এগিয়ে এলেও এখনো নিজেদের অবস্থানে অনড় বড় দুই রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংলাপে সাড়া নেই কারও। বিএনপি বলে আসছে, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক বছরে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা। এখন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগও বলে আসছে, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় এটি আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদে রেখে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই বিএনপির সঙ্গে বসার প্রয়োজনীয়তা নেই।বিস্তারিত