সরকার পতনের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সঙ্গে রয়েছে তাদের মিত্ররাও। এই কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে বিএনপির মহাসমাবেশ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন সরকারের শেষ সময়ে এসে এই মহাসমাবেশ হতে পারে বিএনপির মরণকামড়। এদিন সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কাও করছেন তারা। বিশেষ করে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের রোববারের সাক্ষাৎ শাসক দলের নেতাকর্মীরা সন্দেহের চোখে দেখছেন। এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা জানার চেষ্টা করছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ২৮ অক্টোবর তথাকথিত সমাবেশের নামে বিএনপি জনমনে ভীতি সঞ্চার করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিকামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগের নেতাকার্মীরা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্থিতিশীল পরিবেশ কোনোভাবে ব্যাহত হতে দেবে না। ওবায়দুল কাদের জনগণের স্বাধীনতা, মুক্তি এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আওয়ামী লীগের অজস নেতাকর্মী আত্মত্যাগ করেছে জানিয়ে বলেন, এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে দলের নেতাকর্মীরা যে কোনো আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।বিস্তারিত