বিএনপির মহাসমাবেশ ও হরতালকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলটির কেন্দ্র থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত নেতাদের আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের ধরতে দফায় দফায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তারাও গ্রেপ্তার এড়াতে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন এড়িয়ে চলায় তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বেগ পেতে হচ্ছে। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার অবস্থান পরিবর্তন করছেন।
ডিএমপি জানায়, ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় ৩৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ৫৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অনেককেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তারের পর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ বাসায় অবস্থান করছেন না; এড়িয়ে চলছেন ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন। এ কারণে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএনপির নেতাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ছাড়া সোর্সের মাধ্যমেও তাদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত হয়ে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার আমাদের সময়কে বলেন, সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
এ সংক্রান্ত ৮টি মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কেন্দ্রীয় প্রায় সব নেতাকেই আসামি করা হয়েছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে। তবে থানা ও ওয়ার্ড সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে আসামি করা হয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। পল্টন, রমনা ও শাহজাহানপুর এলাকার একাধিক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগর ও থানাপর্যায়ের কিছুসংখ্যক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, গুলশান ও উত্তরাসহ অন্যান্য থানায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর গত রবিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে পুলিশ হত্যাসহ অন্তত ৪টি মামলায় আসামি করা হয়েছে।বিস্তারিত