পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই যুদ্ধের ইতিহাস চলে আসছে। এক জাতি অন্য জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে রাজ্য বা সাম্রাজ্য দখল করায় ছিল ব্যস্ত। আর সেই ইতিহাসের দুটি দারুণ বিষয়- একটি প্রাচীন ইতিহাস ও অন্যটি তখনকার যুদ্ধের সময়ের যোদ্ধার দল। এদের মধ্যে কিছু জাতি বা জনগোষ্ঠী ছিলেন, যারা দৃঢ় মনোবল আর কৌশলী যুদ্ধে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। এ যোদ্ধারা ময়দানে নির্ভীক আর সাহসিকতার কারণে এবং অসাধারণ কলাকৌশলের জন্য অমর হয়ে আছেন। পৃথিবী সৃষ্টির জš§লগ্ন থেকে শুরু করে ইতিহাসের পাতায় পাওয়া এমন কিছু পরাক্রমশালী জাতি ও যোদ্ধাদের নিয়েই আজকের আয়োজন
মাওরিরা ভয়ানক যোদ্ধার দল, যারা শত্রুকে হত্যা করে মাথা সংরক্ষণ করত
মাওরিদের উৎপত্তি পূর্ব পলিনেশিয়ায়। তারা ছিল নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী। এরাই প্রথম নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী, যারা ছিল ভয়ংকর এবং আক্রমণাত্মক। মাওরিরা বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, এ কারণে তারা নিজস্ব যোদ্ধা সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠে। তাদের নিজস্ব ভাষা এবং পুরাণ আছে। প্রাচীন ইতিহাসে এদের ভয়ানক যোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তাদের দেশে অনুপ্রবেশকারীদের হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করত না, যার নির্মমতা দেখা গিয়েছিল প্রায় ১৮০০ শতক পর্যন্ত। শুধু কি হত্যা করেই ক্ষান্ত। না, এরা এতটাই জঘন্য ছিল যে, হত্যার পর তাদের মাংস দিয়ে ভোজন উৎসবে মেতে উঠত। তারা বিশ্বাস করত- শত্রুর মাংস খেলে নাকি আরও শক্তিশালী এবং যুদ্ধের কৌশল রপ্ত করা যায়। এরা সাধারণত ১০০-এর কম যোদ্ধা (‘হাপু’) দলে বিভক্ত হয়ে শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করত। এদের সাধারণ যুদ্ধের কৌশলই ছিল- অতর্কিত হামলা এবং অদ্ভুত সব অস্ত্রের ব্যবহার। মাওরি যোদ্ধাদের শরীরে বড় বড় ট্যাটু ছিল, যা অত্যন্ত ভয়ানক দেখাত। ধারণা করা হয়, আনুমানিক ১২৫০ থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তারা একটি উপজাতি গোষ্ঠী গঠন করে এবং পরবর্তীতে এই জনগোষ্ঠী থেকে উত্থান ঘটে শক্তিশালী যোদ্ধাদের। মাওরির অন্যতম সেরা ও ভয়ংকর যোদ্ধা হিসেবে ‘হঙ্গি হিকা’-এর নাম আছে সবার ওপরে। সম্ভবত ১৭৭৮ সালে হঙ্গি হিকার জন্ম। সর্বপ্রথম তারা ১৮০৯ সালে প্রথম ইউরোপে আসা জাহাজে আক্রমণ করে। কারণ ইউরোপিয়ানরা মাওরি প্রধানের বড় ছেলেকে অপমান করে। অপমানের বদলা হিসেবে জাহাজের ৬৬ নাবিকের ওপর হামলা চালায় এবং কিছু নাবিককে হত্যা করে।বিস্তারিত