বিএনপিসহ বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের মধ্যে পোশাক খাতের শ্রমিকদের মাঠে নামা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারকদের বেশির ভাগেরই ধারণা, এর পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এরই মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে এর সুযোগ নিচ্ছে।’
এ পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা পোশাকশ্রমিকদের বেতন-ভাতাসংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত মেটানোর তাগিদ অনুভব করছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার সংসদ সদস্যরা যৌথ সভায় যোগ দেন। সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পোশাক কারখানা আছে—এমন এলাকার সংসদ সদস্যদের কিছু নির্দেশনা দেন।
২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা
এর মধ্যে রয়েছে পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানানো যে সরকার নভেম্বরে নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে। আর তা কার্যকর হবে ডিসেম্বরে। বর্তমান সরকারের আমলেই পোশাকশ্রমিকদের বেতন-ভাতা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। তাই সরকারের ওপর আস্থা রাখার বিষয়ে পোশাকশ্রমিক নেতাদের বোঝানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় সংসদ সদস্যদের।
আওয়ামী লীগের ওই সূত্রগুলো আরও জানায়, একই নির্দেশনা দেওয়া হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের। শ্রমিকদের বুঝিয়ে আন্দোলন থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু কেউ কেউ ভয় দেখিয়ে, হামলা করে এবং শক্তির মাধ্যমে আন্দোলন দমাতে চেয়েছে; যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।
গত মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুরের পল্লবী এলাকায় পোশাকশ্রমিকেরা বিক্ষোভে নামলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে মাঠে নেমেছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে আওলাদ হোসেন ওরফে লাক্কু নামের যুবলীগের এক নেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। লাঠিসোঁটা হাতে হামলাও করা হয় পোশাকশ্রমিকদের ওপর। গতকাল বুধবারও ওই এলাকায় পোশাকশ্রমিকেরা মাঠে নামেন।বিস্তারিত