যারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি শুক্রবার এই নির্দেশ দিলেও শনিবার পর্যন্ত অসাধুদের ধরার কোনো উদ্যোগ নেই। বরং বাজার তদারকিতে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে।
ফলে ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু বন্দরে কেজি ৩৩ টাকা বিক্রি হলেও ঢাকার খুচরা বাজারে দাম ৬০-৬৫ টাকা। পাশাপাশি পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা না নেওয়ায় খুচরায় পণ্যটি কিনতে ক্রেতার ১২০-১৪০ টাকা ব্যয় হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন-পণ্য নিয়ে যারা কারসাজি করেছে তারা চিহ্নিত। কিন্তু তাদের কঠোর শাস্তি না হওয়ায় তারা ‘বীরদর্পে’ ক্রেতার পকেট মেরে বাড়তি মুনাফা লুটছে।
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, নতুন করে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনার কোনো নির্দেশ আসেনি। তাই প্রতিদিন অধিদপ্তর থেকে বাজার তদারকির যে নির্দেশনা আছে সেটাই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সময় কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
এদিকে চলতি বছরের জুন থেকে অস্থির আলুর বাজার। সে সময় প্রতি কেজি আলু খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। পরে তদারকি সংস্থার অভিযানে কেজি ৩৫ টাকায় নেমে আসে। আর তদারকি শিথিল করা হলে আগস্টের শেষে ফের বাড়তে থাকে দাম। সে সময় কেজি ৪০ টাকা বিক্রি হলেও সেপ্টেম্বরে ৪৫ টাকায় স্থিতিশীল থাকে।
১৪ সেপ্টেম্বর প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু বাজারে এই দাম কার্যকর হয়নি। এরপর অক্টোবরের শেষ দিকে প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হয়। কিছু কিছু স্থানে ৭০ টাকাও বিক্রি করতে দেখা গেছে। ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই আলু দেশে আসতে শুরুও করেছে।বিস্তারিত