আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৮৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ অনলাইনে বিভ্রান্তির প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। ৮৭ শতাংশ বিশ্বাস করেন, এটি ইতিমধ্যেই তাদের দেশের রাজনীতির ক্ষতি করেছে। বিশ্বব্যাপী একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, অনলাইনে মিথ্যা তথ্য এবং ঘৃণাত্মক বক্তব্য – সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো দ্বারা ত্বরান্বিত এবং ছড়ানো হয়। অনলাইন বিভ্রান্তি সামাজিক সংহতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রধান ঝুঁকি তৈরি করে।
আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কারণে ১৬টি দেশে ইউনেস্কো-কমিশন জরিপ চালিয়েছে। এই অঞ্চলে মোট আড়াইশ কোটি মানুষের বাস। অনলাইন কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা জরিপে দেখা গেছে।
অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আলজেরিয়া, মেক্সিকো, ঘানা এবং ভারতসহ দেশগুলোর ৮০০০ মানুষ নিয়ে পোলস্টার ইপসোসের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৫৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রধানত সোশ্যাল মিডিয়া খবর পাচ্ছেন। টিভি থেকে পাচ্ছেন ৪৪ শতাংশ, এবং অন্যান্য গণমাধ্যম থেকে ২৯ শতাংশ।
প্রায় প্রতিটি দেশেই সোশ্যাল মিডিয়া সংবাদের প্রধান উৎস। তথ্যের উপর আস্থাহীনতা থাকা সত্ত্বেও প্রচলিত মিডিয়ার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডায়র সংবাদের প্রতি আস্থা ৫০ শতাংশ মানুষের। অন্যদিকে টেলিভিশনের প্রতি ৬৬ শতাংশ, রেডিওর জন্য ৬৩ শতাংশ এবং মিডিয়া ওয়েবসাইট এবং অ্যাপভিত্তিক সংবাদের প্রতি ৫৭ শতাংশ মানুষের আস্থা আছে।
১৬টি দেশজুড়েই ৬৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ায় ৩৮ শতাংশ।