আওয়ামী লীগের পাশাপাশি এর শরিকেরাও এখন আর খুব একটা চাইছে না যে বিএনপি নির্বাচনে আসুক। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলটির বিরুদ্ধে যে সর্বাত্মক অভিযান চলছে, তা সঠিক মনে করছে আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকেরা। ক্ষমতাসীন জোটের শরিকেরা বলছে, নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বলে আসছে বিএনপি। এর সঙ্গে এখন গ্রেপ্তার অভিযানসহ সরকারের কঠোর অবস্থানের মুখে বিএনপির নির্বাচনে আসার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
বিএনপির মূল্যায়ন: দল ভাঙার পরিকল্পনা থেকে গ্রেপ্তার চলছে
ক্ষমতাসীন দল ও এর নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন মনোভাব জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক চাপের অর্থ হচ্ছে, দলটির আর নির্বাচনে আসার সুযোগ নেই। আলোচনার পথও বন্ধ। এখন অন্য দলগুলোর মধ্যে যত বেশি সম্ভব দলকে নির্বাচনে আনা এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর ওপরই জোর ক্ষমতাসীনদের।
মনে হচ্ছে বিএনপিই নির্বাচনে আসতে চায় না। নতুবা তারা হঠাৎ কেন জ্বালাও-পোড়াওয়ে যাবে?
তবে আওয়ামী লীগ ও শরিকদের কেউ কেউ মনে করছে, বিএনপির ওপর সর্বাত্মক চাপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরির অভিযোগ আনতে পারে। এর দায় আওয়ামী লীগ ও জোটের শরিকদের ওপর বর্তাবে। এমনকি ভোটের ফল নিয়েও বিতর্ক তৈরি হতে পারে। এরপরও বিএনপির ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে সরকার। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও শরিকদের মধ্যে এমন আলোচনাও রয়েছে যে বিএনপির শক্তি অক্ষত রেখে দলটিকে আবার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ দেওয়া হলে, সেটা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। এ জন্যই আওয়ামী লীগ সর্বাত্মক কঠোর হয়েছে বিএনপির ওপর।
আওয়ামী লীগ ও জোটের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, বিএনপিকে চাপে রেখে এখন সময়মতো ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে খুব একটা সংশয় নেই। বরং চ্যালেঞ্জ আছে ভোটের পর। এমনিতেই অর্থনীতি চাপে, দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। একতরফা ভোটের দায়ে পশ্চিমারা কোনো ধরনের অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিলে সমস্যায় পড়তে হবে।বিস্তারিত