প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বোঝা কমাতে বিদ্যুৎ ও পানির মতো পরিষেবাগুলোতে প্রাথমিকভাবে ভর্তুকি দেওয়ার প্রবণতা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে বর্তমান সরকারের সর্বশেষ একনেক সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ ও পানির মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলোতে ভর্তুকি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মান্নান বলেন, ‘আমাদেরকে পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি দেওয়ার অনুশীলন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিদ্যুৎ ও পানির মতো পরিষেবাগুলো সর্বজনীন এবং সবাই ব্যবহার করে। মন্ত্রী থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবাই সমানভাবে এই ধরনের ভর্তুকির সুবিধা ভোগ করেন।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এলাকাভিত্তিক, আয়-ভিত্তিক ও পরিবার-ভিত্তিক দৃষ্টিকোণ অনুসারে এই ধরনের পরিষেবাগুলোতে চার্জ বা ফি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মান্নান বলেন, এটি এখনও প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক চিন্তাভাবনা এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সংশ্লিষ্ট চার্জ এবং ফি আরও ন্যায়সঙ্গত করতে এ নিয়ে আরও কাজ করবেন।
উন্নত দেশগুলোর অনুশীলনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই জাতীয় ব্যবস্থা তৈরি করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং এটিই মূল বার্তা।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টোল আদায়ের মাধ্যমে একটি ডেডিকেটেড ফান্ড গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর প্রধানমন্ত্রী আবারও জোর দিয়েছেন।বিস্তারিত