দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনায় ব্যস্ত রয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক ও জেলা অফিসে ব্যালট বক্সসহ অধিকাংশ নির্বাচনি মালামাল পাঠিয়েছে ইসি। এখন অপেক্ষা শুধুই তফসিল ঘোষণার। ১ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরুর পর থেকে ইসির ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। কমিশন বলেছে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কার্যক্রম শেষ হবে। ডিসিরাই এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পাচ্ছেন। এ ছাড়া ডিসেম্বরে শুরু হবে প্রায় ৯ লাখ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ।
এদিকে ৯ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এ সময় ভোটের সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি তারিখ রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তবে ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক সভা হবে এ সপ্তাহেই। সভায় ভোটের তারিখ নির্ধারণ হবে। কোনো কারণে ১৫ নভেম্বর তফসিল না হলে ১৬ নভেম্বর হতে পারে।
ইসির অন্য এক সূত্র জানিয়েছেন, ১৪ বা ১৫ নভেম্বর সিইসি বেতার ও টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন। এজন্য বিটিভি মহাপরিচালকের সঙ্গে কথাও বলেছে ইসি। কখন ভাষণ রেকর্ড হবে তা দ্রুত বিটিভিকে জানাবে কমিশন। এ ছাড়া সিইসির ভাষণের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। কমিশন সভায় অনুমোদন হলে তা চূড়ান্ত হবে। এদিকে সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত শুক্র ও শনিবার ডিসি-এসপিদের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ শেষ করেছে ইসি। আজ বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপস উদ্বোধন করবে কমিশন।বিস্তারিত