রুনা লায়লা, যিনি নিজেই নিজের বিশেষণ! এক নামেই সংগীত দুনিয়ায় যার পরিচয়। রুনা লায়লার তুলনা যেন শুধু তিনিই। জনপ্রিয়তা, সফলতা, প্রাপ্তির সঙ্গে এতটা বছর পাড়ি দিয়ে তিনি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য কম সংখ্যক মানুষেরই জোটে। আজ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ তারকার জন্মদিন। তাঁকে নিয়ে লিখেছেন- পান্থ আফজাল
৭২ বসন্তে জীবন্ত কিংবদন্তি
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। জীবনের ৭১টি বসন্ত পেরিয়ে শুক্রবার ৭২ বছরে পা দিলেন তিনি।
বয়স তো কেবল ১৭!
শিল্পী হিসেবে আবির্ভাব ৬০-এর দশকেই। সংগীত জীবনের ৫৮ বছর পার করেছেন এই কিংবদন্তি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে তাঁর বয়স আর বাড়ছে না, কমছেও না? রুনা লায়লার দাবি, ‘আমার বয়স তো ১৭! এখনো এডাল্ট হইনি। এইটটিন্থ হলে পরে জানাব। আমি খুবই সাধারণ মানুষ। অনেকেই মনে করে আমি নাক উঁচু টাইপের, কারও সঙ্গে কথা বলি না। তবে হ্যাঁ, আমি রিজার্ভ। সবার সঙ্গে কথা বলা হয়ে ওঠে না। কিন্তু যাদের সঙ্গে মিশি, পছন্দ করি তাদেরকে আমি মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি।’
শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে
রুনা লায়লার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা। মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী। রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স তখন তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে চলে যান। সেই সূত্রে তার শৈশব কাটে লাহোরে।
গান নয়, প্রথমে শিখেছিলেন নাচ
গান নয়, প্রথমে শিখেছিলেন নাচ। করাচিতে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে নাচ শেখার জন্য ভর্তি করেন মা আমেনা লায়লা। চার বছরে শিখেছিলেন কত্থক আর ভরতনাট্যম।বিস্তারিত