জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ অস্থিতিশীল হয়ে উঠলেও প্রান্তিক পর্যায়ে টাকার প্রবাহ বাড়বে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে এক ধরনের উৎসব হিসেবেও দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব প্রকল্পের কাজ চলমান রেখে প্রান্তিক পর্যায়ে অর্থের সরবরাহ, অর্থের প্রবাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের গতিসঞ্চার হবে বলে মনে করে সরকার। যদিও করোনা মহামারির পর ঘুরে দাঁড়ালেও বৈশ্বিক চাপের কারণে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল-অবরোধের কবলে পড়ে রীতিমতো উল্টোপথে হাঁটছে দেশের অর্থনীতি। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় অর্থনীতিতে অস্বস্তি সৃষ্টিকারী মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত বাড়ছে। ফলে বছর শেষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে দেশে চলমান অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে সহিংস রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ফলে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি খাত। সরবরাহ ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট গড়ে ওঠায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে দফায় দফায়। এ ছাড়া ডলার সংকটের কারণে দুই বছরে টাকার মান কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি। যা এখনো অব্যাহত। খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১২৭-১২৮ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা করোনা মহামারির মতো গভীর সংকটের সময়ও ৮৫ টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাও থমকে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘায়িত ডলার সংকটের কারণে শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি আমদানিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে। এদিকে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতিও দুই অঙ্কের ঘর ছুঁইছুঁই করছে প্রায় এক বছর ধরে। এ নিয়ে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক পৃথক পৃথক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিয়েছে। সংস্থা দুটি বলছে, মূল্যস্ফীতি কমানোর কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই অর্থনীতিতে। ফলে চলতি বছরও বাজেটের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না।বিস্তারিত