আর গত ১০ বছরের হিসাবে এই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ছয় গুণের বেশি। ২০১০ সালে সরকারের স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৯৪৭ মিলিয়ন ডলার। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকটাডের ‘দ্য লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ রিপোর্ট ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মূলত আংকটাড এলডিসিভুক্ত ৪৬টি দেশের অর্থনৈতিক সূচক, লেনদেনের ভারসাম্য নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
তাদের ওই প্রতিবেদন বলেছে, শুধু স্বল্পমেয়াদি ঋণ নয়, এর পাশাপাশি বেড়েছে বিদেশি ঋণের পরিমাণও। গত কয়েক বছরে দ্রুত বেড়েছে এই ঋণের পরিমাণ। এতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতেও দ্রুত বাড়ছে বিদেশি ঋণ। সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই বিদেশি ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় সুদ ও আসল উভয় পরিশোধের চাপও বাড়ছে।
আর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে (এলডিসি) বাংলাদেশের সরকারি ও সরকারের (সভরেন) গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ সবচেয়ে বেশি। এলডিসিভুক্ত ৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের কাছাকাছি কেউ নেই।
প্রতিবছর এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা মূল্যায়ন করে আংকটাড। গতকাল এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে এলডিসিভুক্ত ৪৬টি দেশের ২০২১ সাল শেষে সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণের চিত্র এবং এসংক্রান্ত বিভিন্ন বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে।বিস্তারিত