ঢাকাই চলচ্চিত্রে নারী নির্মাতারা বৈষম্যের শিকার, এ অভিযোগ খোদ নারী নির্মাতাদের। এছাড়া চলচ্চিত্রাঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও তাঁদের নানারকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর দুটি উদাহরণ অবধারিতভাবে তুলে ধরা যায়, যেমন- প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার কোহিনূর আক্তার সুচন্দা ২০০৫ সালে সরকারি অনুদানে নির্মাণ করেন ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রটি। এটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে নানা শাখায় পুরস্কৃত হয় এবং নির্মাতা হিসেবে এ ছবির জন্য সেরা নির্মাতার পুরস্কার লাভ করেন সুচন্দা। অথচ এরপর তিনি ‘বরফ গলা নদী’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণে একাধিকবার সরকারি অনুদান চেয়ে পাননি। দ্বিতীয় বিষয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের ৪৮ বছরের মাথায় এসে এ পর্যন্ত মাত্র দুজন নারী নির্মাতা শ্রেষ্ঠ পরিচালক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে সুচন্দা ছাড়া অন্যজন হলেন ২০২২ সালের জাতীয় পুরস্কারে সেরা নারী নির্মাতা হন ‘শিমু’ ছবির জন্য রুবাইয়াত হোসেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রে নারীদের এমন অবহেলিত অবস্থানের কারণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলার জন্যই শুধু নির্মাণে কোনো নারী এগিয়ে আসতে চান না বলে উল্লেখ করেছেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। তাই ঢালিউডে চলচ্চিত্র নির্মাণে নারীদের খুব একটা দেখা যায় না। কেউ কেউ দুই-একটি সিনেমা নির্মাণ করে হারিয়ে যান।বিস্তারিত