একদিন বিরতি দিয়ে আজ বুধবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে বিএনপির ডাকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সড়ক-রেল-নৌপথে সারাদেশে সর্বাত্মক এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। গত সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির সহাসমাবেশে হামলার পর থেকে তিনদিন হরতাল ছাড়া পাঁচদফায় ১১ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
জানা গেছে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি অনুযায়ী আর কিছুদিন অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিই চালিয়ে যাবে বিএনপি। কমপক্ষে আরও দুই সপ্তাহ অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এরই মধ্যে দলের তৃণমূল এবং দায়িত্বশীল নেতাদের হাইকমান্ডের নতুন এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেতাদের যথাসম্ভব গ্রেপ্তার এড়িয়ে রাজপথে থাকার কথা বলা হয়েছে।
বিএনপির কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। দায়িত্বশীল ওই নেতারা জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশা-কর্মসূচি আগামী দুই সপ্তাহ টেনে নিয়ে গেলে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে পশ্চিমা বিশ্বের অব্যাহত চাপে এ সময়ের মধ্যে কোনো সমঝোতামূলক পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে। এতে তফসিল পেছাতে পারে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার পর থেকে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ দলটির প্রথম সারির বেশিরভাগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন। এমন অবস্থায় চলমান আন্দোলন কর্মসূচি সফল করতে দ্বিতীয়-তৃতীয় সারির নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। দ্বতীয় সারির নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কৌশল অনুযায়ী, কেউ গ্রেপ্তার হলেই তার পরের জন দায়িত্ব নিয়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। বিএনপির জেলা পর্যায়ে এরই মধ্যে অনেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেখানে বিকল্প নেতৃত্বের মাধ্যমে আন্দোলন চলছে।বিস্তারিত