আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১০৮টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ বৃহস্পতিবার। এ জন্য আজ দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক বসছে। সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহ সমকালকে জানিয়েছেন, আজ থেকে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম দিন খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রার্থী বাছাইয়ের পর বৈঠক মুলতবি করা হবে। এর পর আগামীকাল শুক্রবার ও আগামী শনিবার বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৯২টি আসনে দলের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি রয়েছে।
এদিকে বিপুলসংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। দলীয় মনোনয়ন ঘিরে গৃহদাহ চরমে উঠেছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বিবাদে জড়াচ্ছেন। মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে নতুন করে বিরোধ শুরু হয়েছে দলীয় নেতাদের। কোথাও কোথাও পারিবারিক বিরোধও সৃষ্টি হয়েছে। বাবার সঙ্গে ছেলে, ভাইয়ের সঙ্গে ভাই, ভাইয়ের সঙ্গে বোন কিংবা চাচার সঙ্গে ভাতিজা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছেন। এ অবস্থায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওবায়দুল কাদের, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, রাশিদুল আলম, রমেশ চন্দ্র সেন এবং ডা. দীপু মনি।
মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের প্রার্থিতার পক্ষে কথা বলছেন। নেতাকর্মীকে নিয়ে বোর্ড সদস্যদের বাসায় ভিড় জমাচ্ছেন।
খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে মনোনয়ন ফরম জমা পড়েছে ১ হাজার ১২৭টি। এর মধ্যে খুলনায় ৪১৬টি, রাজশাহীতে ৪০৯টি এবং রংপুরে ৩০২টি। বেশির ভাগ আসনেই গড়ে পাঁচ থেকে সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। কোথাও কোথাও ১০-১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীও আছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন নড়াইল-২ আসনে– ২৪ জন। এ আসনের এমপি জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য বলছেন, আওয়ামী লীগে একই আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকবেন– এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে কিছুটা মনোমালিন্য থাকতেই পারে। তবে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হলে এ বিরোধ কেটে যাবে। সবাই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করবেন।
চ্যালেঞ্জে প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
খুলনা-৩ আসনে টানা তিনবারের এমপি মন্নুজান সুফিয়ান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছেন রুনু ইকবাল বিথার ও শেখ ফারুক হাসান হিটলু। দলীয় বিরোধ না থাকলেও একাধিক প্রার্থী থাকায় প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। একই অবস্থা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের। তাঁর যশোর-৫ আসনে ১২ মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনিও বেশ চাপে পড়েছেন।
স্বস্তিতে নেই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। তাঁর বাগেরহাট-৩ আসনে মনোনয়ন পেতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন দলের ছয় নেতা। এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও এখন তুঙ্গে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে হাবিবুন নাহার ও তাঁর বিরোধী অংশের নেতাকর্মী নেমেছেন বাগ্যুদ্ধে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীও মনোনয়নপ্রত্যাশী
রাজশাহীর ছয়টি আসনের কমপক্ষে চারটিতে বর্তমান এমপিরা দলীয় মনোনয়নের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী। রাজশাহী-১ আসনে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী শক্ত বিরোধিতার মুখে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক কারবারি ও বিএনপি-জামায়াতকে দলে ভিড়িয়ে পদ, সুযোগ-সুবিধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগ দলের এক অংশের। এ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী আয়েশা আখতার ডালিয়াসহ ৯ জন।
রাজশাহী-৪ আসনে মনোনয়নের লড়াই হবে এমপি এনামুল হকের সঙ্গে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের। এনামুল হকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, অডিও-ভিডিও ফাঁস, নানা অনিয়ম, নিয়োগ ও মনোনয়ন বাণিজ্য, জামায়াত-জেএমবিপ্রীতিসহ নানা অভিযোগ নিয়ে গত এক বছর ধরে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করেছে দলের নেতাদের বড় অংশ। এমপিবিরোধী শক্ত অবস্থান রয়েছে বাগমারার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও।
রাজশাহী-৬ আসনে এবারও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের মনোনয়ন নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁর বিরোধীপক্ষের সাবেক এমপি রায়হানুল হক রায়হান ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু মনোনয়নের প্রতিযোগিতায় রয়েছেন।
ভাই-বোন, চাচা-ভাতিজা, বাবা-ছেলের প্রতিযোগিতা
কয়েকটি আসনে চাচা-ভাতিজা, বাবা-ছেলে, ভাই-বোন এবং ভাই-ভাই মনোনয়ন লড়াইয়ে নেমে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। নাটোর-৪ আসনে প্রয়াত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন এবং মেয়ে কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি দু’জনই মনোনয়নপ্রত্যাশী। নাটোর-১ আসনে প্রয়াত এমপি মমতাজ উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী সাবেক এমপি শেফালী মমতাজের ছেলে শামীম আহমেদ সাগর মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁর চাচা সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদও মনোনয়ন চেয়েছেন।
যশোর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে মোস্তফা আশিষ ইসলাম। কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রয়াত এমপি আফাজ উদ্দীন আহমেদের তিন ছেলে নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, আরিফ আহমেদ বিশ্বাস এবং এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস। তিন ভাই কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ হওয়ায় পারিবারিক বিরোধ চরম আকার নিয়েছে।
এক আসনে দুই পরিবারের ১০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী
পাবনা-৫ আসনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের ছেলে আরশাদ আদনান রনির মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার বিষয়টিও বেশ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। তবে তাঁর চেয়ে বেশি আলোচনা চলছে পাবনা-৪ আসনে দুই পরিবারের ১০ মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়ে। সেখানে বর্তমান এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাসের সঙ্গে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তাঁরই আত্মীয় পৌর মেয়র ইসহাক আলী মালিথা ও উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী বিশ্বাস। এই আসনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পরিবার থেকে সাতজন মনোনয়ন চেয়েছেন। তারা হচ্ছেন– ডিলুর দুই ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ গালিব, সাকিবুর রহমান শরীফ কনক, মেয়ে মেহজাবিন শিরিন পিয়া, জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, ভগ্নিপতি এস এম গোলাম মোস্তফা চান্না মণ্ডল, নিকটাত্মীয় হাবিবুর রহমান হাবিব ও বশির আহমেদ বকুল।
মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক স্বামী-স্ত্রী, আলোচনায় মাহিয়া মাহি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এই আসনে নতুন করে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আসনে সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি শওকত আরার সঙ্গে তাঁর সাবেক স্বামী আফসার আলীও মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় আলোচনার ঝড় বইছে।
বগুড়ার দুই এমপির বেহাল দশা
বগুড়ায় সাত আসনের তিনটিতে আওয়ামী লীগের এমপি আছেন। দুটি আসনের এমপি দলের একাংশের নেতাকর্মীর বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। বগুড়া-১ আসনে দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত আবদুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নানের বিরুদ্ধে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রবীণ নেতাকর্মীর অবমূল্যায়ন এবং সবকিছু পারিবারিকীকরণের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ নিয়ে দলের একাংশ সাহাদারার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে। বেকায়দায় আছেন বগুড়া-৫ আসনের এমপি হাবিবর রহমানও। তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এই আসনের দলীয় নেতারা।
নাটোরে প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ
নাটোরের চার আসনেই অভ্যন্তরীণ বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। অভিযোগ রয়েছে, নাটোর-১ আসনের শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং নাটোর-৪ আসনের ডা. সিদ্দিকুর রহমান এমপি হয়েও দলের কর্মসূচিতে অংশ নেন না। তারা নিজস্ব বলয় তৈরি করে একাধিক উপদল সৃষ্টি করেছেন। এসব কারণে দলের কর্মসূচি পালন হয় পৃথকভাবে। নাটোর-৩ আসনের এমপি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ রয়েছে নেতাকর্মীর। তাদের অভিযোগ, জামায়াত-বিএনপির অনেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গাঢ়। বিএনপি-জামায়াত রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট অনেকেই প্রতিমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যও।
সেই বিনয়কৃষ্ণ এবার আওয়ামী লীগে
১৯৯৬ সালে খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বিরুদ্ধে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ রায়। সেই বিনয়কৃষ্ণ এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এদিকে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন খুলনার দুই নেতা। খুলনা-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রতাপ কুমার রায় ডুমুরিয়ার আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন। খুলনার তেরখাদা উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু। এখন তিনি খুলনা-৪ আসনে মনোনয়ন চান।
প্রতিমন্ত্রী জাকিরের বিরুদ্ধে একাট্টা ১৪ মনোনয়নপ্রত্যাশী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তাঁর কুড়িগ্রাম-৪ আসনের অন্য ১৪ মনোনয়নপ্রত্যাশী একাট্টা হয়েছেন। গতকাল বুধবার সব মনোনয়নপ্রত্যাশীই জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের পাশাপাশি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাহান্নামে পাঠানোর’ বিতর্কিত মন্তব্যসহ নানা অপকর্মের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। জাকির হোসেন ছাড়া নৌকা প্রতীক যে কাউকে দিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন তারা।
দুই মন্ত্রীকে ভোগাচ্ছে নতুন মুখ
রংপুর-৪ আসনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং লালমনিরহাট-২ আসনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে দলের ডাকসাইটে নেতা ও নতুন মুখসহ অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। নতুন মুখের অনেকে দলের মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় আরও বিপাকে পড়েছেন তারা। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে তাঁরই ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুজ্জামান আহমেদসহ আরও কয়েকজন মনোনয়ন চাওয়ায় দলের বিভাজন কঠিন আকার ধারণ করেছে। তাঁর মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আসনটিতে পরিবর্তন চান অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।