আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে    বিএনপির শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে যাবার সম্ভাবনা কতটা?

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে যাবার সম্ভাবনা কতটা?

 

 

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেবার আর মাত্র সাত দিন বাকি। বিরোধী দল বিএনপির কাছ থেকে নির্বাচনে অংশ নেবার আভাস এখনো মিলছে না। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে নানা চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণ চলছে। নির্বাচনে আসতে বিএনপিকে ৪৮ ঘণ্টার মার্কিন আল্টিমেটাম: ঘটতে পারে নাটকীয় কিছু।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৯শে অক্টোবর থেকে কারাগারে আছেন।
ঢাকাঃ বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তন করার বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে এরই মধ্যে সোমবার এক নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন। এর একদিন পরেই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে নির্বাচনের তারিখ ঠিক রেখে তফসিল পরিবর্তন করবে তাতে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই।

গত সোমবার নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, “ওনারা যদি আসেন আমরা কমিশনাররা বসবো, আইন-কানুন দেখবো, তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয় সেটা করবো। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর ইলেকশন হোক।”

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “নির্বাচনের বিষয়টা অ্যাবসলিউটলি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। সময়সীমা ঠিক রেখে তারা যদি কোন অ্যাডজাস্টমেন্ট করে সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আমাদের কিছু বলার নেই”

তফসিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষমতাসীনদের এমন বক্তব্যের কারণে অনেকেই ধারণা করছেন পর্দার আড়ালে বিএনপির সাথে কোন কথাবার্তা চলছে কিনা? মত বদলে শেষ মুহূর্তে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা সেটিও নিয়ে নানা অনুমান তৈরি হয়েছে।

এখনো পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে কিংবা তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

বাংলাদেশের ভেতরে বিএনপির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সাথে যারা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত, তাদের কেউ কেউ এখন কারাগারে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অনেকটাই আত্মগোপনে। দলটির ডাকা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি যখন চলছে, তখন সম্প্রতি যোগ হয়েছে তাদের বিভিন্ন নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল হামলা।

আব্দুল মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান
বিএনপির চিন্তাভাবনা কী?
তফসিল সংক্রান্ত এসব কথাবার্তা খুব একটা আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। তাদের ধারণা একটা ‘বিভ্রান্তি তৈরি’ করার জন্যই এসব কথা বলা হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “মূল কথা হচ্ছে সরকারের কথায় মানুষের আস্থা নেই। তারা আজকে এক কথা বলছে, কালকে আরেক কথা বলছে”

“আজকে বিএনপিকে খুশি করার জন্য নির্বাচনী শিডিউল দুই দিন-পাঁচ দিন পিছিয়ে দেবে আর বিএনপি তাদের উল্টো-পাল্টা কথা আস্থায় নিয়ে লাফিয়ে নির্বাচনে যাবে- এটা মনে হয় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না,” বলেন ড. খান।

ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদও জোর দিয়ে বলছেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। এটা অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

“নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ দুজনে দুজনার। তারা তফসিল আগাবে না পেছাবে এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচনে যাবার মতো কোন সিদ্ধান্ত আমাদের দলের মধ্যে নাই,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. আহমেদ।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে এখন কয়েকটি চিন্তাধারা কাজ কাজ করছে। দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার সাথে বলা কয়েকটি ধারণা পাওয়া গেল।

নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কোন দিকে যায় সেটি তারা দেখার অপেক্ষায় আছেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, ক্ষমতাসীনরা একতরফা নির্বাচন করে ‘পার পাবে না’।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন, দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের মুক্তি দিলে নির্বাচনে অংশ নেবার বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক হলেও হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “এটা ঠিক যে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তারপরেও আমরা নির্বাচনে গিয়ে দেখতে পারি, পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। প্রয়োজনে মাঠ থেকে সরে আসবো।”

কিন্তু এর বিরুদ্ধ মতও আছে বিএনপিতে। অনেক নেতা মনে করেন, নির্বাচনে যাবার ঘোষণা দিলে জনগণের কাছে বিএনপির বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট তৈরি হতে পারে। তাছাড়া একবার নির্বাচনের মাঠে গেলে সেখান থেকে ফিরে আসাও সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ২০১৮ সালের মতো হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।

তাছাড়া নেতা-কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার কিংবা জামিনের বিষয়টি সরকারের সাথে আলোচনা বা সমঝোতার বিষয়বস্তু হতে পারে না বলে দলটির অনেক নেতা মনে করেন।

“আমরা তো জামিনের জন্য আন্দোলন করি নাই। আমরা তো আন্দোলন করছি এদেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

“এ অবস্থাতে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। প্রশাসন থেকে শুরু করে সবই তাদের কন্ট্রোলে। কেয়ারটেকার সরকার আসুক আমরা নির্বাচনে যাব, তাছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না,” বলেন মি. মাহমুদ।

বিএনপি
গত ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ও সহিংসতার পর দলটির বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপি অনড় থাকবে?
বিভিন্ন জেলায় বিএনপির নেতাদের সাথে কথা বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যে নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত নয়। অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় পুরনো মামলায় বিএনপি নেতাদের কারাদণ্ড হচ্ছে। এমন অবস্থায় তারা নির্বাচনের চেয়ে মামলা মোকাবেলা কিংবা গ্রেফতার এড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে দাবি করা হচ্ছে, গত ২৮শে অক্টোবরের পর থেকে সারাদেশে দলটির ১৫হাজার নেতা-কর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। তাহলে এখনকার পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না – এটাই কি চূড়ান্ত কথা?

জবাবে ড. মঈন খান বলেন, “চূড়ান্ত কথা বলে রাজনীতিতে কিছু নেই। রাজনীতি হচ্ছে একটা ফ্লেক্সিবল জিনিস। এবং গিভ এন্ড টেইকের ভিত্তিতে রাজনীতি পরিচালিত হয়। কাজেই এখানে আমি আমার গো ধরে বসে থাকব, সরকার তার গো ধরে বসে থাকবে – এটা তো কথা হতে পারে না”

তবে সরকারকেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন ড. খান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই মনে করেন নির্বাচন নিয়ে সরকারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের যে চাপ তৈরি হয়েছে সেটি বিএনপির জন্য ইতিবাচক। কিন্তু তারা আন্দোলন থেকে সরে আসার কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে না।

“আমরা আন্দোলন করছি গত ১৫ বছর যাবৎ। এখানে হয়তো পশ্চিমা বিশ্বের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি হয়তো সহায়ক ভূমিকা হিসেবে আছে। কিন্তু আমরা শুধুমাত্র তার উপর নির্ভরশীল নই। আমরা দেশের মানুষকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলছি,” বলছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।

বিএনপি নেতারা স্বীকার করছেন, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন তফসিল পেছানো সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে সেটিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দুই-একদিনের মধ্যেই নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির এক সদস্য।

নির্বাচনে আসতে বিএনপিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম: ঘটতে পারে নাটকীয় কিছু

বিএনপি এখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনী তফসিলকেও তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন বাতিল এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি টানা কর্মসূচি দিচ্ছে কিছুটা বিরতি দিয়ে দিয়ে। সে কর্মসূচির ধারায় আজ ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হয়েছে। আগামী রোববার থেকে আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কিন্তু, এর মধ্যেই নাটকীয় অনেক কিছু ঘটতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অপেক্ষা করুন, অনেক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে।’ কি নাটকীয় ঘটনা? এটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা এবং আলোচনা। বিশেষ করে গতকাল বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের দুইজন কর্মকর্তার বৈঠকের পর আরও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসার নাটকীয় ঘোষণা দিতে পারে। বিশেষত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে, বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নিঃশর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে সেই সমস্যাগুলো দেখা হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত যেন হয়, সেটি পশ্চিমা দেশগুলো তদারকি করবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে ভিসানীতি ঘোষিত হয়েছে সেই ভিসানীতিতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে যারা বাধা দেবে, যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করবে, তাদেরকে ভিসানীতির আওতায় আনা হবে।

গত এপ্রিল মাসে এই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয় এবং সেপ্টেম্বরে তা কার্যকর করা হয়েছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। আর এই ভিসানীতি অনুযায়ী যদি কোন দল বা ব্যক্তি নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করে এবং ভোট গ্রহণে বিঘ্ন ঘটায় তাহলে তিনি ভিসানীতির আওতায় আসবেন। সেই হিসেবে বিএনপির ভোট বর্জন এবং নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করাও ভিসানীতির আওতাভুক্ত। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়া উচিত বিএনপির শীর্ষনেতাদের। কিন্তু, এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসানীতির ব্যাপারে কোন বক্তব্য রাখেনি। বরং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন নিয়ে মোটামুটি চুপচাপ রয়েছে। তবে, বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, গোপনে মার্কিন দূতাবাস এবং যুক্তরাজ্যের দূতাবাস বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত সারাহ্ কুক আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং সেখানেও তারা নির্বাচন পেছানোর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে যে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন ৩০ নভেম্বর থেকে দুই-চারদিন পেছালে তাদের কোন আপত্তি নেই। তবে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হতেই হবে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যদি আসে তাহলে নির্বাচনের তারিখ পেছানো সম্ভব হতে পারে।

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত কি নির্বাচনে আসবে? এটি নিয়ে এখন রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ-আলোচনা। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই বিষয়টি পরিস্কার হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ