নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
ঢাকার ২০টি আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (বিপু) এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৬৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে এসব মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তাঁরা। আজ শুক্রবার বিকেলে রমনা থানার নির্বাচন কর্মকর্তা এম এম শাহনাজ পারভীন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নির্বাচনে প্রার্থী হতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
ঢাকা জেলার আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় যেসব নির্বাচনী আসন আছে, সেগুলোর রিটার্নিং কর্মকর্তা হলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার। এর বাইরের আসনগুলোর রিটার্নিং কর্মকর্তা ঢাকা জেলার প্রশাসক।
এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে ঢাকার আসনগুলোর মধ্যে ১৫টি আসন থেকে দলের নামের জায়গায় আওয়ামী লীগের নাম উল্লেখ করে ২৪ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্র বলছে, এর মধ্যে ঢাকা–১ আসন (দোহার–নবাবগঞ্জ) থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সালমান ফজলুর রহমান। একই আসন থেকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির করম আলীও মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ঢাকা–৩ আসন (কেরানীগঞ্জ) থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং এই আসনের সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ (বিপু)। একই আসন থেকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ জাফর ও আলী রেজা নামের আরেকজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ঢাকা–৪ আসন থেকে জাতীয় পার্টির এই আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন এবং আওয়ামী লীগ থেকে আওলাদ হোসেন, সানজিদা খানমসহ ছয়জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ঢাকা–৫ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির হয়ে আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। একই আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে আওলাদ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদশের আবু জাফর মো. হাবিব উল্লাহসহ পাঁচজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ঢাকা–৬ আসন থেকে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও স্বতন্ত্র এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। ঢাকা–৮ আসন থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ পাঁচজন। দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিও এই আসনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ঢাকা–৯ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এই আসন থেকে আরও একজন ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ঢাকা–১১ আসন থেকে তিনজন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, খন্দকার মমিনুল আযম ও হেদায়েত উল্লাহ।
ঢাকা–১৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নেতা সাদেক খান ও জাতীয় পার্টি থেকে শফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ঢাকা–১৪ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টুসহ আওয়ামী লীগের চারজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। ঢাকা–১৫ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারসহ দুজন, ঢাকা–১৬ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও জাতীয় পার্টির আমানত হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ঢাকা–১৭ আসন থেকে সাতজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের নেতা রয়েছেন।
এ ছাড়া ঢাকা–১৮ থেকে তিনজন, ঢাকা–১৯ থেকে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবং এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুর রহমানসহ বিভিন্ন দলের পাঁচজন এবং ঢাকা–২০ আসন থেকে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ ছয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।