প্রতি আসনে গড়ে নৌকার প্রার্থী হতে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১১ জন। নৌকা পেয়েছেন একজন। বাকি ১০ জন এখন কী করবেন, সেই আলোচনা রাজনীতির মাঠে। আর তাতে বেশ জোরেশোরে বাতাস দিচ্ছে বিকল্প প্রার্থী (ডামি) রাখার দলীয় পরামর্শ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আনতে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিদ্রোহী তকমা দেওয়া হবে না। এবার নরম সুর আওয়ামী লীগে। তাই নৌকাবঞ্চিত অনেকে লড়বেন নৌকার বিপক্ষে।
‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন নির্বাচিত হতে না পারে’—আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে। দলীয় প্রতীকের বিপক্ষে প্রার্থী হতে এটিকেই এখন অনুপ্রেরণার জায়গা হিসেবে দেখছেন নৌকাবঞ্চিতরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডজনখানেকের বেশি নেতা।
গতকাল রোববার গণভবনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সবার সঙ্গে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভাতেই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করতেও নৌকার প্রার্থীদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে। তাঁরা বলছেন, এবার আগে থেকেই নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এতে করে মাঠে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিপক্ষ নেই। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি করতে টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের অনেক আসনে প্রার্থী বদলের ইঙ্গিত ছিল। তাই আগে থেকেই নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক জনসংযোগ করেছেন নেতারা। বর্তমান সংসদ সদস্যের বিপক্ষে মনোনয়ন পেতে অর্থ খরচও করেছেন প্রচারে।বিস্তারিত