রহস্যাবৃত ছকে বিএনপি

রহস্যাবৃত ছকে বিএনপি

টানা ৩২ দিন আত্মগোপনে বিএনপি। দলটিতে চলছে সরকারের গণহারে দমন-পীড়ন। নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী এবং মাঠপর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের এ পর্যন্ত ২৯টি মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫২৬ জন নেতাকর্মী বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৯১ জন। মামলা ৮২৮টি। আসামি ৭১ হাজার ৯৮৮ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে , ৬৮টি জেলখানা জেলখানায় ধারণক্ষমতার বাইরে বেশি নেতাকর্মী অবস্থান করছে। কারাগারে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথাও বলছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার তফসিল ঘোষণা করেছে। গত রোববার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৯৮ জন চূড়ান্ত প্রার্থীও ঘোষণা করেছে। দেশের রাজনীতি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অর্থনৈতিক ঝুঁকির সঙ্গে দেশের রাজনীতিও মহাবিপদে পড়তে যাচ্ছে। স্বয়ং নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে দেশের জন্য বিপদ রয়েছে। বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামে সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার তারা ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।

এ বিষয়ে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের আগে-পরে করণীয় বিষয় কী হতে পারে— এটি তারা নির্দিষ্ট ছক একেই এগোচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির নীতি-নির্ধারণী দুই নেতা আমার সংবাদকে বলেন, ‘দেখুন সরকারকে ভারতসহ দু’-একটি দেশ সাপোর্ট দিচ্ছে বলেই আজ বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে তালা দেয়া হয়েছে, নেতাকর্মীদের আটক করেই সাজা দিয়ে দেয়া হচ্ছে যাতে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, বিচার বিভাগকে যে সরকার দলীয়করণ করে ফেলেছে, তা দিনে-রাতে সাজার মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে কোনো যানবাহন ভাঙচুর করছে না আগুন দিচ্ছে না, কারা করছে তারা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে কূটনৈতিকদের জানিয়েছে। সরকার যেমন কিছু দেশের প্রেসক্রিপশনে একতরফাভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক, একইভাবে বিএনপিও কিছু কুটনৈতিক ভায়োলেন্স রক্ষা করেই চলছে। পরিবেশ পরিস্থিতির আলোকে তারা তা বাস্তবায়ন করবে।

রাজনৈতিক কয়েকটি সূত্র বলছে, বিএনপি আসলে হাওয়াই স্বপ্ন দেখছে। তারা ধারণা করছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন থেকে  আর রিয়্যাক্ট করবে না। যা করবে সব অ্যাক্ট। ক্ষমতাসীন আ.লীগকে সন্ত্রাসী দল বলতে পারে। বিরোধীদের আত্মরক্ষার কথা বলতে পারে। অর্থনীতির নানা বিষয়ে চোখ রাঙাতে পারে, রিজার্ভসহ সব ব্লক করে দিতে পারে। অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলবে। কারণ ওয়াশিংটন ডিসি যে পদক্ষেপই গ্রহণ করুক না কেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপ সেটি  অনুসরণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকলে অর্থনীতি  ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পুলিশ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। বিশ্বের ক্ষমতাধর কিছু ব্যক্তির অশুভ পরিণতির শঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ সমস্ত হিসাবে করেই বিএনপি কৌশলগতভাবে এগোচ্ছে। দলটির কেউ কেউ বলছে, বিএনপির আত্মগোপনে থাকাও সরকারের জন্য একটি ফাঁদ। এত দিন বিএনপি বিদেশিদের কাছে যে অভিযোগগুলো করে আসছে, গত এক মাসে তা প্রমাণ হয়ে গেছে। বিস্তারিত

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ