এখনো মেলেনি জোট ও ভোটের হিসাব। আওয়ামী লীগ এককভাবে প্রার্থী দিয়েছে ২৯৮টি আসনে। এখন ১৪ দলের শরিকদের কতটি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি তারা এককভাবে নির্বাচন করবে সেটা নিশ্চিত হয়নি। ১৪ দলীয় জোট ছাড়াও ‘ভোটের জোটের’ কারণে কয়েকটি আসন ছাড়তে পারে আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে কাদের কপাল পুড়ছে, কাদের কপাল খুলছে-তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। কাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও ধীরে চলো নীতিতে এগোতে চায় আওয়ামী লীগ। পরিস্থিতির আলোকে জাতীয় পার্টিকেও ছেড়ে দেওয়া হতে পারে কিছু আসন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বিএনপির ভোটে আসা না আসার ওপর।
ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতার আশাবাদ ভোটে বিএনপি অংশ নেবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী কাল নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। পরশু থেকে দলটির নীতি-নির্ধারকরা শুরু করবেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ। এটি চলবে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত। এর মধ্যেই জোটের শরিকদের সঙ্গে চলবে আলোচনা-পর্যালোচনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনবোধে জোটের শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে।
গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের জোট আছে। ১৪ দলে কারা কারা নমিনেশন চান সেটি দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যে যেখানে যা করা প্রয়োজন তা করব। ৩০০ আসনেই নৌকার প্রার্থী থাকবে। প্রয়োজনবোধে পরিস্থিতি অনুযায়ী জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে।বিস্তারিত