দেশে আমদানি করা ফলের প্রধান বাজার রাজধানীর বাদামতলী। অভ্যন্তরীণ এবং আমদানি করা ফলের প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবসাই ব্যস্ততম এই পাইকারি বাজারকেন্দ্রিক। প্রতিদিন প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার ফল বেচাকেনার এই বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। নিজেদের মন মতো ফলের দাম নির্ধারণ, ফলের কার্টনে ওজন কম দেওয়া, সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ নানাভাবে ফায়দা লুটছেন তারা। দেশের বৃহৎ এই ফলের বাজারকে এভাবে অস্থিতিশীল করে রাখায় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের খুচরা ফল বিক্রির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, একই ফলের দাম স্থানভেদে ভিন্ন। এ ছাড়াও ফলের দোকানে গত বছরের তুলনায় এবার দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি।
এদিকে জুন ২০২৩ থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধি করায় খেজুর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে রোজার সময় খেজুর সংকট তৈরি হবে। দাম চলে যাবে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
রাজধানীর বাদামতলী ফলের
বাজারের কমপক্ষে ১৫ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। প্রত্যেকেই জানান, বাদামতলী ফলের বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। ফলের দাম ওঠানামার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। বর্তমানে ডলার সংকট এবং বৈশ্বিক সমস্যা দেখিয়ে এই সিন্ডিকেট ফলের দাম বাড়িয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে আমদানি করা মোট খেজুরের ৯৫ শতাংশের বেশি আসে ইরাক, দুবাই, তিউনেশিয়া ও আলজেরিয়া থেকে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর খেজুরের মৌসুম। খেজুর উৎপাদনকারী দেশগুলোতে এবারের মৌসুম প্রায় শেষের পথে। তবে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এ বছর দেশের ছোট ব্যবসায়ীরা এখনো খেজুর কিনতে পারেননি। রমজানের কাছাকাছি সময়ে বর্ধিত শুল্ক কমানো হলেও তখন এলসি করতে হলে বেশি দামে কিনতে হবে। আবার সময় স্বল্পতার কারণে তখন খেজুর ভোক্তাদের হাতে পৌঁছানো কঠিন হবে।বিস্তারিত