বিশ্বজুড়ে ভাসমান বাড়ি কিংবা স্থাপত্যশিল্পের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কোথাও কোথাও তো আবার গড়ে উঠেছে ভাসমান নগরীও। এসব ভাসমান স্থাপত্য দেখতে ভাসমান বাড়ির চেয়ে চলতে ফিরতে পারা ভেলাই বেশি মনে হবে। এসব স্থাপত্যের নকশা, পাশাপাশি অন্যান্য চারুকলা ও কারুশিল্প বরাবরই যে কোনো স্থাপত্যশিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলে। আর এমন অসাধারণ নকশা আর চাকচিক্যময় স্থাপনা সহজেই জয় করে নিতে পারে যে কারও মন।
ফুজিয়ান, চীন
সমুদ্রে ভাসমান বাড়ি
সমুদ্রে ভাসছে আস্ত বাড়ি। চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের উপকূলে এ রকম এক ভাসমান বাড়ি নির্মাণ করেছেন এক চীনা উদ্যোক্তা। ৬০০ বর্গফুটের এ বাড়ি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে মাত্র ৪ লাখ ইউয়ান (প্রায় ৫১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা)। গল্পটি একজন তরুণ উদ্যোক্তার; যার ডাকনাম কোস্টলাইন। ২০১৮ সালের এক রাতে তিনি বন্ধু ডং জিনমিংয়ের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে গল্পের ছলেই বলে ফেলেন, সমুদ্রে ভাসমান বাড়ি বানালে কেমন হতো? একদিকে ইচ্ছামতো মাছ ধরা, অন্যদিকে পানাহার- কত আনন্দই না হতো! ইচ্ছামতো সারা দিন মাছ ধরা আর উৎসবে মেতে থাকা! যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। সে রাতেই তারা ভাসমান বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তব। ভবনটির কাঠামোতে কোস্টলাইন চেয়েছিলেন যতটা সম্ভব কাচ ব্যবহার করতে, যেন সমুদ্রের নীল পানির মাঝে কাচের নকশাকৃত এই বাড়ি অপরূপ দেখায়। মজবুত ও টেকসই করার জন্য তাকে বাহ্যিক সৌন্দর্য বাদ দিয়ে শেষে ইস্পাত ব্যবহার করতে হয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে তাদের প্রায় এক বছর লেগে যায়। প্রথমে তারা কাছাকাছি একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে। বাড়িটি ১৬টি ধাতব নোঙরে বাঁধা, যার প্রতিটির ওজন প্রায় ১ টন করে। যদি মালিকরা কখনো এটা সরাতে চান, তাহলে নোঙর তুলে ফেলতে হবে এবং একটি পাওয়ারবোটের সাহায্যে বাড়িটিকে নতুন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। কূল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে শান্ত উপসাগরে অবস্থিত এই বাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে হায়িক্সি। এর ৩৬০ ডিগ্রি কোণে রয়েছে সমুদ্রের পানি।বিস্তারিত