আইফোন ও ব্যাংক থেকে টাকা চুরির মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন জহির ও জাকির নামের দুই ব্যক্তি। তাঁরা সম্পর্কে দুলাভাই-শ্যালক।
গ্রেপ্তারের পর জহির-জাকিরকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের কেরানীগঞ্জের আরশিনগরের তিন কক্ষের যৌথ বাসায় অভিযানে যায় পুলিশ।
অভিযানকালে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামও পুলিশের সঙ্গে ছিলেন। সেখানে তিনি দেখেন, বাসাভর্তি নতুন নতুন আসবাব। এর মধ্যে আছে খাট, সোফাসেট, ডাইনিং টেবিল। আছে ফ্রিজসহ ইলেকট্রনিক পণ্যও। এ ছাড়া বাসায় কার্টনভর্তি নতুন শিশুখাদ্যও দেখা যায়।
অভিযানকালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জহির ও জাকির স্বীকার করেন, চুরির টাকা একাধিক ব্যক্তির (চোর) মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করেছেন তাঁরা। নিজেদের ভাগের টাকা দিয়ে তাঁরা নতুন আসবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিস কিনেছেন। এ ছাড়া অন্য কাজেও তাঁরা টাকা লাগিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাইদুল বলছেন, তিনি তাঁর আইফোনসহ চুরি হওয়া প্রায় সাড়ে ২৮ লাখ ফেরত চান।
তবে পুলিশ বলছে, তারা খুব বেশি টাকা উদ্ধার করতে পারেনি।
সাইদুল (৩৯) পুরান ঢাকার বাদামতলী এলাকার ফল ব্যবসায়ী। বাদামতলী এলাকাতেই তিনি থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সাইদুল প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বিদেশ থেকে ফল আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। এটা তাঁর পারিবারিক ব্যবসা। গত ২ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার ডরিন বেকারির সামনে থেকে তাঁর আইফোন-১৩ প্রো মুঠোফোনটি পাঞ্জাবির পকেট থেকে চুরি হয়ে যায়। পরে মুঠোফোন ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে তাঁর মোট ২৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার বেশি তুলে নেয় চোর। এ ঘটনায় তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।বিস্তারিত