ঝালকাঠি প্রতিনিধি
বিএনপি ছেড়ে শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তারা সবাই ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের অনুসারী।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির ওই নেতাকর্মীরা।
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ, যুবদলের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম বশির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিব ভূট্টো ও সদস্যসচিব জাকির হোসেন।
তাদের নেতৃত্বে উপজেলা ও ছয়টি ইউনিয়নের শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
প্রায় চার সপ্তাহ কারাবন্দী থাকার পর গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান শাহজাহান ওমর। পরের দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে ইউটিসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কথা জানান শাহজাহান ওমর। তিনি জানান, ঝালকাঠি–১ আসনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নৌকার প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনি। এরপর তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২০০১ সালে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন শাহজাহান ওমর। ১৯৯৬ ও ২০১৮ সালে তিনি হেরে যান। ২০০৮ সালেই কেবল তাকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন অবসরপ্রাপ্ত এই মেজর জেনারেল, যিনি মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন।
২০১৬ সালের জাতীয় সম্মেলনের পর বিএনপি শাহজাহান ওমরকে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দেয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে অংশও নেন শাহজাহান ওমর। ওই দিন পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।