কমপক্ষে ২০০৮ সাল থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্র ‘এক নায়ক’-নির্ভর হয়ে পড়েছে। অথচ ঢাকাই চলচ্চিত্রের গোড়াপত্তন অর্থাৎ ষাটের দশক থেকেই একাধিক নায়কের ছবি একই সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে চলত। সর্বশেষ ২০০৮ সালে নায়ক মান্নার মৃত্যুর আগে সালমান শাহ, মান্না, রিয়াজ, ফেরদৌস, ওমর সানী, অমিত হাসান, আমিন খানদের নিয়ে নির্মাতারা চোখ বন্ধ করে ছবি বানাতেন এবং তাঁদের ছবি দেখতে দর্শক সিনেমা হলে ভিড় জমাত। কিন্তু উল্লিখিত বছরে নায়ক মান্না অকালে মারা গেলেন ও রিয়াজসহ অন্য নায়করা ধীরে ধীরে অভিনয় থেকে দূরে সরতে থাকেন। এতে তখন থেকেই দেশীয় চলচ্চিত্র শাকিব খানের দখলে চলে যায়। কারণ শাকিবের পাশাপাশি অনেক নায়কই তাঁর আগে-পরে চলচ্চিত্রের অভিনয়ে এলেও খুব একটা দর্শকমন মাতাতে পারেননি তারা। এমন মন্তব্য চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসের। এ চলচ্চিত্র কর্মকর্তার কথার রেশ ধরেই কয়েকজন চলচ্চিত্রকারের কাছে জানতে চাইলাম কেন নতুন নায়ক তৈরি হচ্ছে না? এর জবাবে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ বলেন, এখন যারা অভিনয়ে আসছে তারা শুরুতেই সহজে অর্থবিত্ত আর খ্যাতি পেতে চায়। কেউ অভিনয় শিখেও আসছে না বা শেখার প্রতি কারও আগ্রহও নেই। মূলত এ কারণে নায়ক হিসেবে অনেককে ব্রেক দিলেও শুরুতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা। দর্শক গ্রহণযোগ্যতার অভাবে তাদের নিয়ে আর ছবি নির্মাণ করতে সাহস পান না কোনো নির্মাতা। আরেক খ্যাতিমান সিনিয়র নির্মাতা মতিন রহমানের কথায়- আগে কাজের প্রতি শিল্পীদের যে ডেডিকেশন ছিল তা এখন কোথায়? এর জন্য নির্মাতারাও দায়ী। তাঁরা দায়সারাগোছের কাজ করেন বলে নতুন যারা অভিনয়ে আসছে তারা ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে নতুন নায়ক-নায়িকা আর তৈরি হচ্ছে না। আরেক প্রখ্যাত নির্মাতা কাজী হায়াৎ বলেন, এখন যারা এ অঙ্গনে আসছে তাদের মধ্যে অভিনয়ে পূর্ব প্রস্তুতি কিংবা নায়কোচিত চেহারা ও আচরণ নেই। ফলে দর্শক গ্রহণযোগ্যতার অভাবে এক-দুটি সিনেমার পরই হারিয়ে যায় তারা।বিস্তারিত