রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ৩ ঘটনায় গুলিতে নিহত ৫

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ৩ ঘটনায় গুলিতে নিহত ৫

কক্সবা্জার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদিনে পৃথক ৩টি গোলাগুলির ঘটনা পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আরসা ও আরএসও-এর গোলাগুলিতে দুদলের তিনজন, একই সময়ে অপর এক স্থানে আরএসও সোর্স সন্দেহে এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা এবং এর আগে দুপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে অপর একজন রোহিঙ্গা নিহত হন।

রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরএসও গোলাগুলিতে নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/৩ এর কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৭), ক্যাম্প-১৭ এর আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩০), ক্যাম্প-১ ইস্ট ব্লক-জি/১২ এর মনি উল্লাহর ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) এবং ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/৬ এর মো. শফিকের ছেলে আনোয়ার সাদেক (১৭)।

পুলিশ ও রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এর জি/৩ ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) বাহিনীর প্রায় ৩০-৪০ জনের দল জড়ো হয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হন। এই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা গোলাগুলি চলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ঘটনাস্থল থেকে দুগ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

একই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৭ এর সি/৭৭ ব্লকে আরসার ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল আবুল কাসেম নামের এক সাধারণ রোহিঙ্গাকে আরএসওর সোর্স সন্দেহে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। তার আগে দুপুর আড়াইটার দিকে কুতুপালংয়ের ৪ নম্বর ক্যাম্পের এফ/১৬ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে ক্যাম্প-১ ইস্ট এর জি/১২ ব্লকের মনি উল্লাহর ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) নিহত হন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার ও সুরতহাল তৈরি হয়েছে। এসব মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পের নিরাপত্তা জোরদার করতে এপিবিএনের পাশপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

শীর্ষ সংবাদ সারাদেশ