নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। এদের মধ্যে ১৯টি দল ৫০টির কম আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী দিয়েছে। অপরদিকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থার দাবিতে মাঠের বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বয়কট করেছে। আর বিএনপির হিসাবে, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মোট ৬০টি দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে (যুগান্তর, ২ ডিসেম্বর)।
বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা তা নিয়ে মতভিন্নতা রয়েছে। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠানের চলমান প্রক্রিয়াকে ‘একতরফা জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের অপচেষ্টা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম (অব.) বলেছেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে বাদ দিয়ে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশ না নিলে সেই নির্বাচন অতীতেও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়নি, এখনো হবে না। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া যেভাবে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে দেশ, তাতে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে।বিস্তারিত