রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে চার দেশের রাষ্ট্রদূত পৃথকভাবে নিজ নিজ পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এরা হলেন, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপালা বিরাক্কডি, মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমার মোহি এলদিন আহমেদ ফাহমি এবং হলি-সি ভ্যাটিকানের এপস্টলিক নানসিও কেভিন র্যান্ডাল।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে চার দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত একে একে রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
এসময় নতুন দূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতির এই মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়।
কল
রাষ্ট্রপতি বলেন, গত দেড় দশকে যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে দেশে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের রোল মডেল। জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহের সহযোগিতা এ উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রেখেছে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, নতুন দূতরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।
সাক্ষাৎকালে পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি এবং শ্রীলঙ্কান নতুন হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নতুন হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।