ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদই ছোট দলগুলোর ভরসা

ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদই ছোট দলগুলোর ভরসা

আর মাত্র ছয় দিন পর শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। ভোটের মাঠে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। ভোটের মাঠে সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শন দেখাতে চান তারা। এদিকে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে জোটের বাইরে গিয়ে এককভাবে অংশ নিচ্ছেন ছোট-বড় ১৬টি রাজনৈতিক দল। তারা ভোটের মাঠে নিজ নিজ দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও ছোট দলগুলোর অনেকের শেষ ভরসা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ।

মূলত বিএনপি নির্বাচনে না আশায় দলগুলোর আশা-বৃহৎ স্বার্থে বেশকিছু আসনে ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- জোটে না থাকা অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রধানদের বিগত নির্বাচনের মাঠে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে নিজেদের জামানত হারিয়েছেন তারা কেউ কেউ। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নামমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর এবারও ভোটের মাঠে পরাজয় ঘটবে। তবে নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলো নিজেদের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।

তথ্যসূত্র, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ১৬ দলের মধ্যে সাতটি দলের প্রধান গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। একজনও জিততে পারেননি। এই সাতটি দলের প্রধানরা ২০১৮ সালের নির্বাচনে একসঙ্গে ভোট পান ৬০ হাজার ৮৯৩টি। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিএনপির সঙ্গে জোট করে চট্টগ্রাম-১৬ আসন থেকে নির্বাচন করে একাই পেয়েছিলেন ৪৪ হাজারের বেশি ভোট।  আর বাকি ৬ জনের মোট ভোট ১৬ হাজার ৫১২। ওই আসনে ইবরাহিমের প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫৭ ভোট।

কল্যাণ পার্টি ছাড়াও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন দলের প্রধানরা অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছিলেন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অতীত-ইতিহাসও বলার মতো নয়। ইবরাহিম তার দলীয় প্রতীক নিয়ে ২০০৮ সালে ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচন করে পেয়েছিলেন মাত্র ৬৮৮ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম চট্টগ্রাম-৫ ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।বিস্তারিত

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ