কূটনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেছেন, বাংলাদেশকে যারা ভয় দেখাচ্ছে, তারা ভুলে যাচ্ছে যে বাংলাদেশ এখন ভিতু দেশ নয়। ভয় দেখালেই (বাংলাদেশ) ভয় পাবে, এটা কাজে দেবে না।
রোববার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এম জে আকবর এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশকে নিয়ে বিভিন্ন দেশের নানা রকম হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে এম জে আকবর বলেন, ‘বাংলাদেশকে ঘিরে এর উদ্দেশ্য হলো, প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। আর যে ভয় দেখাচ্ছে, তারা একটা জিনিস ভুলে যাচ্ছে যে বাংলাদেশ এখন ভিতু দেশ নয়। ভয় দেখালেই যে আমি ভয় পাব, এটা কাজে দেবে না।’
ভারতের সাবেক এই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশে নিজের সমস্যা নিজে খুব ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারবে।’
বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন, জানতে চাইলে এম জে আকবর বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে দেখছি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে এবং গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছে।’
সেমিনারে মূল বক্তৃতায় এম জে আকবর বলেন, ভৌগোলিক, ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশ পরাশক্তিগুলোর নজরে রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। শুধু ভৌগোলিক কারণেই নয়, অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণেও বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এশিয়ার উদীয়মান শক্তি। আর এটা শুধু বঙ্গোপসাগরের কারণেই নয়, দক্ষিণে থাকা মহাসাগরের জন্যও।
এম জে আকবর বলেন, ‘দারিদ্র্য দূর না করে আপনি একটি আধুনিক জাতি হতে পারবেন না। বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে হাঁটছে। এ কারণেই মানুষ শেখ হাসিনাকে বারবার নির্বাচিত করে। গণতন্ত্র ও প্রতিটি ধর্মের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশ আধুনিক জাতি হতে পারে না। প্রতিটি বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলো অন্তর্ভুক্ত জাতীয়তাবাদ।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, সুযোগের দেশ। তিনি বাংলাদেশের অর্জিত উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার কথা তুলে ধরে বলেন যে বাংলাদেশ গণতন্ত্র অনুসরণ করছে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস। আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্য শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সবার আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করা হয়।