নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৩ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করলেও প্রতিটি আসনেই লড়তে হবে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে। ১৫ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকেও লড়াই করে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোথাও কোথাও পরাজয়ও বরণ করতে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আজ (সোমবার) প্রতীক বরাদ্দ হলেই ভোটের মাঠের লড়াই দেখা যাবে।
জানা গেছে, এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় আওয়ামী লীগ। ফলে স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিসভায় ২৩ মন্ত্রী, ১৮ প্রতিমন্ত্রী ও তিন উপমন্ত্রী রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন বাদে সবাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। যে তিনজন মনোনয়ন পাননি তারা হলেন– সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। অন্য মন্ত্রীদের আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও সেগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম হবে– বলছে স্থানীয় সূত্রগুলো।
এদিকে হাইকমান্ড থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসতে বলা হবে না। দলীয় প্রার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। এমন ঘোষণায় প্রায় প্রতিটি আসনেই এক বা একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেমেছেন ভোটের লড়াইয়ে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বিপরীতে যারা স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন, তাদের কেউ সাবেক সংসদ সদস্য, কেউ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন। আবার অনেকেই দলের স্থানীয় পর্যায়ে পদধারী নেতা। এসব আসনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিজ দলের পদধারী শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে।
ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ)। গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম। গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম।