গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। স্থানীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জাবালিয়া শহরের একটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে আইডিএফ। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া কয়েক ডজন বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো মৃতদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর মুখপাত্র দাউদ শেহাবের ছেলে। দলটির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারণে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ ও তাদের উদ্ধারের কোরো উপায় নেই।
এদিকে মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহর চিকিৎসকরা বলছেন, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। দক্ষিণে রাফাহ এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত হয়েছেন অর্ধ লাখের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে এক হাজার ১৪৭ জন।
এদিকে দক্ষিণ গাজায় গোলাবর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিচ্ছেন এমন শহর রাফাহ ও খান ইউনিস এখন তাদের নজরে।
দক্ষিণ গাজায় বোমাবর্ষণ সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিকে দিন দিন আরো খারাপ করে তুলছে। খাদ্য, পানির সংকটে রয়েছে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ক্ষুধা, রোগ, দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে এখানকার মানুষ মারা গেলে আমি অবাক হব না।
জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ লাখ মানুষ সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।