নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারের কঠোর অবস্থানে নিস্তেজ হয়ে পড়া বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে। কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্ত করা, গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল, সর্বদলীয় ঐক্য গঠন, কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ধরে রাখা, আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোসহ বেশ কিছু কর্মকৌশল নিয়ে নতুন করে ভাবছে দলের নীতিনির্ধারকরা। সার্বিক বিষয় নিয়ে শরিকদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করছে বিএনপি। পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী চূড়ান্ত করণীয় নির্ধারণ করবে। দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দেশের মানুষ গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী সরকারকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। এ কারণে সব গণতন্ত্রকামী দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথের আন্দোলন ফের জোরদার করবে। এ লক্ষ্যে দলমতনির্বিশেষে সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ভবিষ্যৎ কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।
দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন পরবর্তী অনুষ্ঠিত দলটির নীতিনির্ধারণী বৈঠকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতা প্রসঙ্গে কমপক্ষে পাঁচটি এজেন্ডা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বিএনপি জোটের আহ্বানে জনগণের ভোট বর্জন করাকে আন্দোলনের ‘নৈতিক বিজয়’ হিসেবে দেখা হলেও রাজপথের আন্দোলন কেন চূড়ান্ত সফলতা পেল না, কোথায় কোথায় ঘাটতি ছিল, তা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা হয়। নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে জনগণ তাদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। দলটির হাইকমান্ডের দাবি, নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ভোটারের কম উপস্থিতি বিএনপির পক্ষে তাদের অবস্থানের বিশেষ বার্তা।বিস্তারিত