ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মানেই টাকা আর রোগীর জীবন নিয়ে খেলা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এমন অসংখ্য ঘটনার নজির সৃষ্টি করেছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ— যা চিকিৎসা খাতের ইতিহাসে বিরল। চিকিৎসায় অবহেলা, আর্থিক প্রতারণা, কথায় কথায় টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে রোগীর স্বজনদের হাতে রিসিপ্ট ধরিয়ে দেয়া, করোনাকালে নেগেটিভ-পজেটিভ সার্টিফিকেট প্রতারণা ছাড়াও চিকিৎসার নামে এহেন কোনো অপকর্ম সেখানে নেই যা এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করে না। সর্বশেষ সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে ওই হাসপাতালে প্রাণ দিতে হয়েছে পাঁচ বছরের শিশু আয়ানকে। চিকিৎসার নামে মানুষ হত্যার মিশনে থাকা এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন সরাসরি আক্রমণও করছে কম্পাউন্ডে যাওয়া বহিরাগতদের। তাদের পালিত গুণ্ডাবাহিনী লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও। শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন দেখতে যাওয়ায় গতকাল সোমবার আমার সংবাদ ও বাংলাদেশ টাইমসের দুই সাংবাদিকের (মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার) ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালায় রাজধানীর সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লালিত গুণ্ডাবাহিনী। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় শুরু থেকেই চাপে থাকা শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদও বলছেন, তিনি এ ঘটনার পর থেকে আরও বেশি শঙ্কা বোধ করছেন। তিনি বলছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবার ওপরই এখন শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করছে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক ইমরান। জিডি সূত্রে জানা যায়, সরকার কর্তৃক বন্ধ ঘোষিত সাতারকুলের ইউনাইটেড হাসপাতালের সামনে গেলে সেখানে উপস্থিত থাকা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সিকিউরিটি গার্ডের পোশাক পরিহিত ১০-১২ জন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা সাংবাদিক ইমরান ও মিরাজের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে থাকা অফিসের মোবাইল ফোন, বুম, মাইক্রোফোনসহ মাল্টিমিডিয়ার যাবতীয় সরঞ্জামও ভেঙে ফেলা হয়। এতে প্রায় এক লাখ টাকারও বেশি ক্ষতিসাধন হয়। শুধু তাই নয়, মারধরের পর আহত দুই সাংবাদিক হাসপাতালের বাইরে গিয়ে দাঁড়ালে সেখানেও হাসপাতালটির পোষ্য সন্ত্রাসীরা এসে দাবি করে ১০০ ফিট সড়কটিও তাদের। সেখান থেকেও তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী গতকাল রাত ৮টার দিকে আমার সংবাদকে বলেন, ঘটনা জেনেছি। আমি আদালতে ছিলাম। মাত্রই থানায় আসলাম। আমি তাদের সাথে কথা বলব। ওই সময় ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক জানান, আমাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। এখনো জিডির নম্বর দেয়া হয়নি।বিস্তারিত