ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট, ছাপানো টাকার ঋণ বন্ধ পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজে আসছে না সরকারের নানামুখী উদ্যোগ

ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট, ছাপানো টাকার ঋণ বন্ধ পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজে আসছে না সরকারের নানামুখী উদ্যোগ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ তেমন একটা কাজে আসছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডলার বিক্রির মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা উত্তোলন, সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ প্রদান বন্ধ, সুদের হার বৃদ্ধি, ভুয়া ঋণ তদারকি ও খেলাপি ঋণ আদায়ে গুরুত্বারোপ ছাড়াও বিলাসী পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকে নগদ তারল্যের হাহাকার কমছে না। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে ধার করে চলছে। এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্র যুগান্তরকে জানায়, সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। গত আগস্ট মাসের পর থেকে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে একটা টাকাও ঋণ দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক, যা তারল্য সংকটে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে। যদিও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শুরুর দুই মাসে মাত্র ১৯ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। যা পুরো ৭ মাসের হিসাব বলা যায়। এর আগে গত অর্থবছরে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে পণ্যমূল্য কমছে না। তার মানে হয় নীতি কাজ করছে না, নতুবা বাজারে যে পরিমাণ পণ্য দরকার সেই পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানা গেছে, সরকার চলতি অর্থবছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে বাজার থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়েছে। কিন্তু সেই পরিমাণ নতুন টাকা বাজারের জন্য ইস্যু করেনি। আবার পণ্যমূল্য বেশি হওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই পরিমাণ টাকার ব্যবস্থা করতে পারছে না। অনেকে ব্যাংকের সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন। এতে ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংকগুলো টাকার হাহাকার মেটাতে উচ্চসুদে ধার করছে।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ