বেসরকারি চাকরিজীবী মো. নুরুল আমিন (৫০) শুরু থেকেই তিনি গ্রামীণফোনের একজন গ্রাহক। বাড়তি ঝামেলা মনে করে কখনো প্যাকেজ কিংবা অফার দেখে মোবাইল রিচার্জ করেন না তিনি। প্রয়োজন অনুযায়ী রিচার্জ করেন নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে। ইন্টারনেটে কথা বলায় মোবাইলে খরচও কম হয় তার। এ জন্য গ্রামীণফোনে ৪৯ টাকায় এক সেকেন্ড পালসের একটি ছোট প্যাকেজ কিনতেন তিনি। সককিছু ঠিকঠাক চলছিল। একবার রিচার্জ করলে বেশ কিছু দিন চলে যেত। কোনো মেয়াদের ঝামেলা ছিল না। তবে কয়েক দিন আগে ৪৯ টাকা রিচার্জ করে নতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হন তিনি।
সময়ের আলোকে তিনি বলেন, আগে ৪৯ টাকা রিচার্জ করলে অনেক দিন ব্যবহার করতে পারতাম। কোনো মেয়াদ ছিলো না। আর গত দুবার আমি ৪৯ টাকা রিচার্জ করলে তিনদিন পর অব্যবহৃত টাকা কেটে নিয়ে যায়। সবশেষ একবার রিচার্জ করে তিনটা কল করতে পেরেছি। এরপর ভাইকে ফোন করতে গিয়ে দেখি ফোনে টাকা নেই। আমাকে বলছে এমারজেন্সি ব্যালেন্সের জন্য ডায়েল করুন। দুইবারই আমার সঙ্গে এমন হয়েছে।
তিনি বলেন, জিপি যদি কোনো নতুন নিয়ম করে বা প্যাকেজের পরিবর্তন আনে সেটিও তো আমাদের জানাবে। কিন্তু কোনো নোটিস ছাড়া নিজেদের ইচ্ছে মতো টাকা কেটে নিচ্ছে- এটা তো হতে পারে না। গ্রামীনফোনের এই সেবা নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত।
মো. আলমগীর নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, ফোন কোম্পানিগুলো এত এত প্যাকেজ ও অফার দেয় যে যা মনে রাখা সম্ভব নয়। প্রতিদিন ফোনে অনেক অফার আসে। কখনো অফার থেকে আবার কখনো মাইজিপি অ্যাপস থেকে কিংবা ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকান থেকে আমি টকটাইম কিনি। কেনার পার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবার নতুন অফারের ম্যাসেজ আসে। সেটি কিনলে আগেরটি আর যোগ হয় না। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা চচ্ছে মেয়াদ কবে শেষ সেটি তো মনে রাখা যায় না। ফলে সব মিনিট ব্যবহার করার আগেই কেটে নিয়ে যায়। অভিযোগ জানাতে গেলে আবারো টাকা গুনতে হয়। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অফার ও প্যাকেজ বন্ধ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমার টাকায় কেনা মিনিট ও ইন্টারনেট আমি ইচ্ছেমতো ব্যবহার করার স্বাধীনতা চাই। বিস্তারিত